গ্রেফতার পরিচালক বিক্রম ভট্ট। আইভিএফ সংক্রান্ত আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। বিক্রমের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী শ্বেতাম্বরী ভট্ট ও আরও ছয় জন। রাজস্থান পুলিশ ও মুম্বই পুলিশ যৌথ ভাবে একটি অভিযান চালান বিক্রমের শালিকার বাড়িতে।
রাজস্থানের এক আইভিএফ সংস্থার মালিক তথা চিকিৎসক অজয় মুরদিয়ার সঙ্গে নাকি ৩০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন বিক্রম ও তাঁর স্ত্রী এবং আরও ছয় ব্যক্তি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাত দিন আগে বিক্রম ভট্ট ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছিল উদয়পুর পুলিশ। নোটিসে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক অভিযুক্তকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে উদয়পুর পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে, অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় মুরদিয়া অভিযোগ দায়ের করেছেন বিক্রম ভট্ট, শ্বেতাম্বরী ভট্ট ও তাঁদের কন্যা কৃষ্ণার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও দিনেশ কাটারিয়া, মেহবুব আনসারি, মুদিত বুটাট্টন, গঙ্গেশ্বর লাল শ্রীবাস্তব ও অশোক দুবের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অজয় মুরদিয়া তাঁর প্রয়াত স্ত্রীকে নিয়ে একটি জীবনীচিত্র বানাতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি উদয়পুরের বাসিন্দা দিনেশ কাটারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। সেই সূত্র ধরেই ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল মুম্বইয়ে বিক্রম ভট্টের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ। তখন বিক্রম জানিয়েছিলেন, তিনি ছবির নির্মাণের সমস্ত কিছু সামলে নেবেন। সেই অনুযায়ী অজয় মুরদিয়াকে টাকা পাঠিয়ে যেতে হবে। এই ছবির কাজে স্ত্রী ও কন্যাও যুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন বিক্রম। এই টাকার লেনদেনেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। যার ফলে ৩০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পরিচালকের বিরুদ্ধে।