শৈবাল বসু—নিজস্ব প্রতিবেদন।
‘শুনছ, কালপুরুষ?’— না, এ কোনও ব্যক্তির গল্প নয়। এই আখ্যানের নায়ক সময়। সত্তরের দশকে জন্ম নেওয়া এক যুবকের সমকাল অবধি সময় ও মানুষ দেখার আখ্যান।
শৈবাল বসু পরিবেশিত ‘শুনছ, কালপুরুষ?’ মনোলগটি মঞ্চস্থ হতে চলেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় বিনোদিনী কেয়া মঞ্চ রঙ্গকর্মী স্টুডিওতে। এই গল্পের নায়ক সময়। শৈবাল বসুর কথায়, ‘‘সত্তরের দশকে জন্ম নিয়েছি। তার পর সহজ, কঠিন অনেকগুলো দিনগুলো পার করতে করতে এই সময় যখন দেশের মাটিতে আমাদের অস্তিত্বের শিকড় ধরে টান পড়েছে তখন মফস্সলের এক জন সাধারণ মানুষের পৃথিবীটাকে দেখা আর তাঁর স্মৃতি কেমন, তাই নিয়েই এই কথকতা।
‘‘আমার সেজদিদা, সাতাশ বছর বয়সে বিধবা, অম্বুবাচীর পর দিন তার সদ্যবিধবা জা-কে কানে কানে বলল, ‘‘নুপূর, নুপূর, চালকুমড়ার ঘণ্টতে কালোজিরার সাথে একটুকু হিং দিস, দেখবি একদম ইলিশমাছের গন্ধ হবে।’’ সেজদিদা থেকে শান্তিনিকেতনের শেফালিমাসি, বাবা তারকনাথ থেকে হ্যামলেট, যাদবপুরে নবনীতাদির মুখে সীতার আখ্যান, মোহন সিংহের হুইলচেয়ার আর অভ্রভেদী রথের চাকা, ব্যক্তিগত চরিত্রগুলির ‘রাজনৈতিক’ হয়ে ওঠার এক নিবিড় কথকতা ‘শুনছ, কালপুরুষ?’।
শৈবাল বসু বললেন, ‘‘মনোলগ একক মানুষের বয়ান। কিন্তু একাকী বয়ান তো নয়। হয়তো আমার বয়সী যাঁরা, মানে এই মাটিতে, এই সময়কালে যাঁদের বয়স পঞ্চাশ-ছোঁয়া তাঁদের অনেকেরই ভেতর ঘিরে জমে আছে এই সব কথা! আর ‘জমে আছে’ই বা বলছি কেন, প্রতি মুহূর্তেই জমছে হয়তো। তাই তাঁদেরই সামনে পেলে এক মানুষের একার কথা হয়ে উঠতে পারে হয়তো কথকতা... আর হয়তো কোনও সহমত বা অন্যমত থেকে জন্ম নিতে পারে এক যথার্থ সংলাপ-সম্ভাবনা... সংলাপের বড় প্রয়োজন যে এখন!’’
এই আখ্যান নিয়ে শৈবাল যাচ্ছেন বাংলাদেশে, তার পর ইউরোপে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy