গত প্রায় এক বছর বলিপাড়া সরগরম ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিবাহবিচ্ছেদের আলোচনায়। তার পর মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের স্কুলের অনুষ্ঠানে তাঁদের পাশাপাশি দেখা যায়। অবসান হয় জল্পনা। কিন্তু গোটা পর্বে দু’জনের কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতেই দেখা গিয়েছে তাঁদের।
কিন্তু এ বার নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘কালীধর লাপতা’। অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ছবি প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতেই উঠে আসে ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যার কথা। স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি থেকে মেয়ের বড় হয়ে যাওয়া— সব নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় মজলেন নায়ক। অনেকেই ভাবেন কোনও এক ছবির সেটে ঐশ্বর্যার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। তেমনটা যে নয়, তা খোলসা করেছেন অভিনেতা নিজেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, “বাবা তখন প্রযোজনার কাজ শুরু করেছিলেন। সেই সূত্রেই প্রোডাকশন হেড মেহুল কুমারের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলেন রেইকি করতে। ‘মৃত্যুদাতা’ ছবির জন্য মূলত গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় ববি দেওলের সঙ্গে একটি ছবির শুটিং করছিল ঐশ্বর্যা। সেই প্রথম ওঁর সঙ্গে দেখা আমার।”
আরও পড়ুন:
অমিতাভ বচ্চনের পুত্র বলিউডের শিক্ষিত অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। ছোটবেলা থেকে বিদেশে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁর আদব-কায়দা ছিল কেতাদুরস্ত। অভিষেক বলেন, “তখন আমি সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেছি। বিদেশি টানে ইংরিজি বলি। ঐশ্বর্যা আমায় বলেছিল আমার ভাষাই নাকি ও বুঝতে পারেনি। এখনও সেই দিনের কথা আমার মনে আছে।”
এ কথা বলতে গিয়েই স্ত্রীকে প্রশংসায় ভরালেন অভিষেক। আরাধ্যার বেশি দায়িত্বই নেন ঐশ্বর্যা। অভিনেতা জানালেন, এখনও পর্যন্ত আরাধ্যার কোনও ব্যক্তিগত ফোন নেই। সমাজমাধ্যমের পাতায় কোনও প্রোফাইলও নেই। নায়কের এই সাক্ষাৎকার শুনে দর্শকের একাংশের মত তাঁদের বিচ্ছেদের খবর নেহাতই জল্পনা।