২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপের ঘটনায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের। ফাইল চিত্র।
জামিন পেলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে এসেই মিলল মুক্তি। ২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপের ঘটনায় ‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিনের। তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও জ্যাকলিনের দাবি ছিল, তদন্ত ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার যৌক্তিকতা দেখছেন না। দিল্লির পটিয়ালা হাউস আদালত গত ২৬ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিনের অনুমতি দিয়েছিল এর পরই।
অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের মেয়াদ ছিল ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ফলে মঙ্গলবার আবারও তাঁকে দিল্লির পটিয়ালা হাউস আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ।গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তিকালীন জামিনে ছাড়া পান তিনি। এর আগে পটিয়ালা হাউস আদালতে জ্যাকলিনের জামিনের আবেদন খারিজ করার আর্জি জানিয়েছিল ইডি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। গত অগস্টে সুকেশের সঙ্গে তছরুপ মামলায় নাম জড়ানোর পর ইডি তলব করে জ্যাকলিনকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেককেই থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। সেখানে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালীন ইডি অভিযোগ জানায়, জ্যাকলিন তাঁর মোবাইল থেকে সব তথ্য মুছে দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি, এমনও অভিযোগ ওঠে।
এর পরেই ইডি অভিযোগ করে, তদন্ত চলাকালীন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু লুক আউট নোটিস জারি থাকায় তিনি যেতে পারেননি বলেই ইডির দাবি। আদালতে এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি পেশ করে ইডি। তারা অভিনেত্রীর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে। ইতিমধ্যে জেলবন্দি সুকেশও তাঁর আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠান আদালতে। সেখানে তিনি জানান, জ্যাকলিনের কোনও দোষ নেই। শুধু শুধুই তাঁর নাম জড়িয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy