গায়ের রং কালো। শরীরের গঠনও নিখুঁত নয়। ছোট থেকে কম হেনস্থা সহ্য করতে হয়েছে কৌতুক অভিনেতা জনি লিভারের মেয়ে জ্যামি লিভারকে? সেই স্মৃতি আজও যখন তখন রক্তাক্ত করে তোলে তাঁকে। কথায় কথায় উঠে আসে সে প্রসঙ্গ। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে আরও একবার সে কথা তুলে ধরলেন জ্যামি। তাঁর কথায়, “ছোট থেকেই কখনও শরীরের গঠন নিয়ে কখনও গায়ের রঙের জন্য কু-মন্তব্য শুনতে হয়েছে। একটা সময় নিজের শরীর নিজের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল!”
কৌতুক অভিনেতার মেয়েও কৌতুকাভিনয় করেন। বাবার চেহারার সঙ্গে যথেষ্ট মিল তাঁর। ছোট থেকেই তাই তাঁকে নিয়মিত রূপচর্চার পরামর্শ দিয়েছেন প্রায় সকলেই। যেমন, “উবটান ব্যবহার করতে পার তো!” কিংবা “রোজ হলুদ মাখলে গায়ের রং ফর্সা হবে”-র মতো কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন তিনি। “গায়ের রঙের জন্য কখনও শুনেছি আমি ডাকিনী, কখনও প্রেতিনী!”, সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অকপটে। যখন বাবার পেশা বেছে নিয়েছেন তখন বলিউডই নাকি নাক সিঁটকেছে তাঁকে দেখে। জ্যামির কানে ভেসে এসেছে কটাক্ষ, “এত কুৎসিত মেয়েকে কে কাজ দেবে!” অনেকে তাঁর মৃত্যুকামনাও নাকি করেছেন। তিনি শুনেছেন, “গায়ের রং কালো, প্রেতিনীর মতো হাসি, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাবে না। মরে যাচ্ছ না কেন?” মৃদু হেসে জ্যামির পাল্টা মন্তব্য, এখনও ইন্ডাস্ট্রিতে গায়ের রং একটা বড় বিষয়।
আরও পড়ুন:
শুধুই কি গায়ের রং? জ্যামির মতে, তাঁর চেহারাতেও অনেক ত্রুটি। “ন্যাসপাতির মতো শরীরের গঠন। মোটাও ছিলাম। ফলে, আমার নিতম্ব ভারী। তাই নিয়েও কু-মন্তব্য শুনতে হয়েছে। বাড়ি থেকে সারা ক্ষণ বলত, যেন শরীর ঢাকা পোশাক পরি।” ভারী নিতম্ব ঢাকতে অনেক বড় বয়স পর্যন্ত তিনি লম্বা কুর্তি বা পা ঢাকা পোশাক পরতেন। শরীরের খুঁত ঢেকে সুন্দর করে নিজেকে মেলে ধরতে শিখেছেন অনেক পরে। জ্যামি অবশ্য এখন আর এ সবের পরোয়া করেন না। তিনি স্ট্যান্ড-আপ কমেডির দুনিয়ায় নিজের জাত চিনিয়েছেন। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ‘কিস কিসকো পেয়ার করুঁ’, ‘হাউসফুল ৪’, ‘ভূত পুলিশ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতেও।