দীর্ঘ লিভ ইনের পরে বিদেশিনীর সঙ্গে সাতপাকে, বিয়ের আগেই মেয়ের বাবা হন দেব আনন্দের নাতি পূরব কোহালি

তাঁর কেরিয়ারে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘রক অন’। ২০০৬-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন কেদার কেডি জাভেরী বা ‘কিলার ড্রামার’-এর ভূমিকায়। অর্জুন রামপাল, ফরহান আখতার, প্রাচী দেশাই অভিনীত মাল্টিস্টারার এই ছবি বক্সঅফিসে সুপারহিট হয়েছিল।

পরে এই ছবির দ্বিতীয় অংশ ‘রক অন টু’-তেও একই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পূরব। পাশাপাশি তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য বাকি নাম হল ‘শাদি কে সাইড এফেক্টস’, ‘জাল’, ‘এয়ারলিফ্ট’ এবং ‘মিশন মঙ্গল’। ওয়েবসিরিজ ‘টাইপরাইটার’ এবং ‘আউট অব লভ’-এও পূরবের কাজ প্রশংসনীয়।

অভিনেত্রী ইয়ামিনি নমোযোশিকে ২০০৭ সালে বিয়ে করেছিলেন পূরব। কিন্তু তিন বছর পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।

এরপর বোন রিমার সূত্রে পূরবের সঙ্গে আলাপ হয় লুসি প্যাটনের। ব্রিটিশ তরুণী লুসি ছিলেন যোগ-প্রশিক্ষক। ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়েছিলেন পূরবের বোন রিমা। সেখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন লুসি।

আলাপ থেকে প্রেম এবং প্রেম থেকে পরিণয়। লুসির টানে ঘন ঘন ইংল্যান্ডে পাড়ি দিতেন পূরব। দীর্ঘ দিন লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। সে সময় কন্যাসন্তানের মা হন লুসি। পূরব তাঁর মেয়ের নাম রাখেন ইনায়া।

নিজের সম্পর্ক, বিদেশি বান্ধবীর সঙ্গে লিভ ইন, বিয়ের আগেই কন্যাসন্তানের বাবা হওয়া—কোনওটাই সংবাদমাধ্যমের কাছে লুকিয়ে রাখেননি পূরব। পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, লুসি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরই পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়।

বিশেষ করে পূরবের মা চেয়েছিলেন, তাঁর ছেলে এ বার সাতপাকে বাঁধা পড়ুক। কিন্তু সন্তানের জন্মের আগে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না পূরব বা লুসি, কেউই। পরে তাঁদের প্রথম সন্তানের যেন না মনে হয়, তাঁকে পৃথিবীতে আনার লোকলজ্জা থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি বিয়ে করেছিলেন বাবা মা! এই ভাবনা থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেন এই জুটি।

পাশাপাশি, তাঁরা চেয়েছিলেন তাঁদের ‘লভ চাইল্ড’ সাক্ষী থাকুক এই বিয়ের। ফলে ইনায়া একটু বড় হওয়ার পরে, ২০১৮ সালে গোয়ায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন পূরব-লুসি। সেই অনুষ্ঠানে নাকি সবথেকে বেশি আনন্দ করেছিল খুদে ইনায়া-ই। পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন পূরব।

বিয়ের পরে ২০১৯-এ জন্ম হয় পূরব-লুসির ছেলে ওশিয়ানের। স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে গত কয়েক মাস লন্ডনে আটকে গিয়েছেন পূরব। সেখানে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানান অভিনেতা। তাঁদের পরিবারের চারজনই সংক্রমিত করোনা ভাইরাসে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের চারজনেরই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার খবরও জানান পূরব।