Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment News

১৩ বছরের মেয়ের এভারেস্ট জয়ের কাহিনি নিয়ে বাজি ধরছেন রাহুল

কখনও বিষ্ণু দে, কখনও যামিনী রায় নিয়ে আড্ডা জমানোর লোক তিনি নন। তিনি যেরকম রাগবি খেলেছেন, অভিনয় করেছেন, ঠিক সেরকমই সিনেমাও পরিচালনা করে চলেছেন। টনি রায়চৌধুরীর বাংলা ছবি ‘অনুরণন’এ রাহুল বোসের গলায় ‘আকাশে ছড়ানো মেঘেদের কাছাকাছি’ অনেকেরই মনে আছে।

ছবির একটি দৃশ্যে রাহুল বসু এবং অদিতি ইনামদার

ছবির একটি দৃশ্যে রাহুল বসু এবং অদিতি ইনামদার

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০৬
Share: Save:

কখনও বিষ্ণু দে, কখনও যামিনী রায় নিয়ে আড্ডা জমানোর লোক তিনি নন। তিনি যেরকম রাগবি খেলেছেন, অভিনয় করেছেন, ঠিক সেরকমই সিনেমাও পরিচালনা করে চলেছেন। টনি রায়চৌধুরীর বাংলা ছবি ‘অনুরণন’এ রাহুল বোসের গলায় ‘আকাশে ছড়ানো মেঘেদের কাছাকাছি’ অনেকেরই মনে আছে। এ বার নিজের প্রথম প্রযোজিত এবং দ্বিতীয় পরিচালিত ছবির ট্রেলর জনসমক্ষে নিয়ে এলেন খোদ রাহুল বসু। ছবির নাম ‘পূর্ণা’। ছবিতে রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন রাহুল।

১৩ বছরের মেয়ের মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের কাহিনি নিয়ে রাহুল তৈরি করেছেন এই ছবি। ২০১৪ সালের ২৫ মে তেলঙ্গানার আদিবাসী কিশোরী পূর্ণা মলবথ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে। এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছবির পরিচালক রাহুল। ট্রেলর লঞ্চ করতে এসে রাহুল বলছেন, “এই ছবি যে বাণিজ্যিক ভাবে সফল হবে তা নিয়ে আমি বাজি ধরতে পারি। এটা কোনও ছোট ছবি নয়। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে পূর্ণা ভাল ব্যবসা করবে।”

বাঁদিকে, অডিশনের সময় অদিতি ইনামদারের সঙ্গে কথা বলছেন পরিচালক। ডানদিকে, সিনেমার পোস্টার

বিস্মিত ৪৯ বছরের এই অভিনেতা বলেন, “যখন এই গল্প আমার কাছে আসে আমি অবাক হয়ে যাই, সারা ভারত সানিয়া মির্জা, সাইনা নেহওয়াল, পি ভি সিন্ধু নিয়ে মেতে। অথচ ১৩ বছরের এই পূর্ণার গল্প কেউ হয়তো শোনেইনি। ছোট্ট মেয়েটার মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার গল্প আমার বেশ ভাল লাগে। এ এক বিষ্ময়কর গল্প।।”

ছবির শুটিং করা হয়েছে পূর্ণার বাড়ির এলাকাতেই। রাহুলের দাবি, “আমি জীবনে অনেক বায়োপিক দেখেছি। আর কিছু বায়োপিক দেখে হেসেছি। হেসেছি কারণ সেইগুলোতে বায়োপিকের নামে বাস্তবকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। পূর্ণার নব্বই শতাংশ বাস্তব।”

১৫ বছর পরে রাহুল ফিরছেন পরিচালনা করতে। ‘এভরিবডি সেস আই অ্যাম ফাইন’ দিয়ে শুরু করেছিলেন পরিচালনা। ‘দ্য হুইস্পারস’ নামের আরেকটি ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে ছবি রিলিজ করেনি। পূর্ণার গ্রামে মোট ১০৯ টি আদিবাসী কিশোরীর অডিশন নিয়েছিল টিম ‘পূর্ণা’ শেষে অদিতি ইনামদার নামের এক কিশোরীকে পছন্দ হয়ে যায়। আর সেই মেয়েও নিজেকে স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলতে উদগ্রীব। অদিতি বলছে, “আমি রাহুল স্যারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাকে এই চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অনেক কসরত করতে হয়েছে। অনেক ম্যানারিজম শিখতে হয়েছে। পূর্ণাদির সঙ্গেও আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। ওর চালচলন সব কিছু আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।”

বাবার সঙ্গে ট্রেলর লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ণাও। তার কাহিনি নিয়ে যে ছবি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে বেশ খুশি তিনি। আগামী ৩১ মার্চ মুক্তি পাবে এই ছবি।

দেখুন ভিডিও:

আরও পড়ুন: সকলকে কাঁদিয়ে চলে যাচ্ছে ভুতু

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE