অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
করোনায় আক্রান্ত শ্রুতি দাস। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোয় চিন্তিতও তিনি। এক নেটাগরিকের একটি পোস্ট নিজের সামাজিক পাতায় শেয়ার করতেই প্রকাশ্যে এল তাঁর দুশ্চিন্তার কথা। সেই পোস্টে দ্রুত করোনা ছড়ানোর কারণ হিসেবে নির্বাচনী প্রচার, অসংখ্য জনসমাবেশের কথা বলা হয়েছে। ‘ভোট, ভোটের প্রচার, অবাধ ঘোরাফেরা, যেখানে লোক সমাগম কম হওয়ার কথা সেখানে আরও আরও কত কত লোক, কোন দলের সভায় বেশি লোক— সে সব প্রতিযোগিতা চলছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে, মাস্ক না পরেই চারিদিকে জনসমাবেশ’, পোস্টের সারমর্ম এটাই। একই সঙ্গে ভোটের ফলপ্রকাশের পর আবার লকডাউন চালু হওয়া নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থনীতির খাতিরে আবার যাতে সব বন্ধ না হয়ে যায় তার জন্য আগাম সতর্কতা অবলম্বনের কথাও উঠে এসেছে জনৈকার পোস্টে।
শ্রুতির শেয়ার করা সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে বহু নেটাগরিকের। অনেকেই বিষয়টিকে সমর্থনও করেছেন। সত্যিই কি নির্বাচনী প্রচার অতিমারি ছড়ানোর একমাত্র কারণ? কী মনে করছেন শ্রুতি?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ৩ এপ্রিল শ্রুতির কোভিড পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে। অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী, ২ এপ্রিল থেকেই অসুস্থতা শুরু তাঁর। আপাতত নিজের বাড়িতেই শ্রুতি সবার থেকে বিচ্ছিন্ন। স্বাদ, গন্ধহীনতার পাশাপাশি কষ্ট পাচ্ছেন কাশিতে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'কখনওই নির্বাচনী প্রচার সংক্রমণ বাড়ানোর একমাত্র কারণ নয়। আমরা সবাই কমবেশি দায়ী এর জন্য'। কী ভাবে? অভিনেত্রীর কথায়, সবাই সর্বত্র যথেষ্ট সাবধানতা মানছেন না। মাস্কও পরছেন না ঠিক মতো। ফলে, রাজ্যে আবারও অতিমারির এত বাড়বাড়ন্ত। তবে, পোস্টটি তাঁর যথাযথ মনে হয়েছে। তাই শেয়ার করেছেন।
পাশাপাশি শ্রুতির দাবি, 'শ্যুটিংয়ে গিয়ে কে কতক্ষণ মাস্ক পরে থাকেন, সবটাই সবাই জানি'। বলেন, টেলিপাড়াতেও একের পর এক শিল্পী, কলাকুশলী সংক্রমিত হওয়ায় ফের তাপমাত্রা মাপা শুরু হয়েছে। যা নাকি সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তাঁর প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ, 'ভরতদার (কল) কোভিড ধরা পড়ার পর সবাই ফ্লোরে, মেকআপ রুমে মাস্ক পরাটা আরও বাড়াতে শুরু করল। আমি যাব। আবার দেখব কত নিয়ম'!
ঘুরিয়ে কি শ্রতি টেলিপাড়ায় করোনা সতর্কতার ঢিলেমির দিকেই আঙুল তুললেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy