ওঁরা ভূত? নাকি মানুষ আর ভূত মিলেমিশে একাকার! শীতের আবহে জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রযোজিত ছবি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’। ছবির পয়লা চমক, সম্ভবত এই প্রথম ট্যাঙ্গো নাচ দেখবেন বাংলা ছবির দর্শক!
চমকের আরও বাকি। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে বাংলা বা হিন্দি ছবিতে কোনও দিন তাঁকে নাচতে দেখা যায়নি। সেই সোহম মজুমদার এই বিশেষ ঘরানার নাচ নেচেছেন। আনন্দবাজার ডট কম-কে এ খবর জানিয়েছেন ছবির পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। বলেছেন, “শুটিংয়ের আগে-পরে নানা ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোও কম চমকপ্রদ নয়। এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দফায় দফায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।”
যেমন, স্বস্তিকা দত্ত চোখের সমস্যায় নাজেহাল। একই ভাবে সোহমও। অরিত্রের কথায়, “একে বেচারি নাচেনি কোনও দিন। তার উপরে শক্ত নাচ। বিপরীতে মিমি চক্রবর্তীর মতো দক্ষ অভিনেত্রী। তার পরেও হাল ছাড়েনি। নৃত্যপ্রশিক্ষক মঙ্গেশ খেড়েকরের কাছে দিনের পর দিন তালিম নিয়েছে। শুটিংয়ের আগের দিন ফাইনাল রিহার্সাল। কলকাতা জলে ডুবে। বৃষ্টিতে ভিজে সোহম এসেছে।”
স্বস্তিকা দত্ত, বনি সেনগুপ্ত। ছবি: ফেসবুক।
পরের দিন প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে শুটিং করেছেন। অদ্ভুত ব্যাপার, প্রথম শটেই ‘ওকে’!
নাচের ঝলক বলছে, ভূতেরাও পার্টি করে! তাদেরও প্রেম পায়? “অবশ্যই পায়। সে কথা পরশুরাম ‘ভূষণ্ডির মাঠ’ গল্পে লিখেছেন”, বক্তব্য অরিত্রের। ট্যাঙ্গো নাচ ১৮৮০ সালের। আর্জেন্তিনা, উরুগুয়েতে এই নাচের চল বেশি। তার মানে গানের দৃশ্যে মিমি চক্রবর্তী, সোহম মজুমদার, স্বস্তিকা দত্ত, বনি সেনগুপ্ত-সহ অনেককেই ‘পার্টি’র সাজপোশাকে দেখা যাবে। গানেও কি সেই ‘রেট্রো’র ছোঁয়া? এ বিষয়ে অবশ্য এখনই মুখ খুলতে রাজি নন পরিচালক।
শুক্রবার প্রকাশ্যে আসছে ছবির প্রথম গান ‘তুমি কে’। ভৌতিক ছবি মানেই গানেও সেই গা ছমছমে ব্যাপার থাকবে। সাধারণত, এমনটাই আশা করেন দর্শক। ছবির গীতিকার-সুরকার-গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, “সেটা কিন্তু এই গানে নেই। করোনাকালে একটা গান বানিয়েছিলাম। সেই গান নন্দিতাদি-শিবপ্রসাদদার পছন্দ হল। সৃজিতা মিত্রকে নিয়ে সেই গান ছবিতে গেয়েছি।”