২৯ জুলাই ‘বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস’। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে অনেক সময়ই বার্তা দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ ছবি প্রদর্শনীর। নেপথ্যে ছিলেন ‘ফুডপ্রেনিয়োর’ এবং ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার শিলাদিত্য চৌধুরী। আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের নাম ‘লর্ড অফ দ্য জাঙ্গল’। প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি হিসাবে এসেছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী এবং দেবলীনা কুমার। দুই অভিনেত্রীই পোষ্য প্রেমী। গার্গী আবার জঙ্গল ভালবাসেন। সেই সূত্রে নিজে চোখে বহু বার বাঘ দেখেছেন।
অভিনেত্রী বললেন, “বরাবরই আমি ব্যাঘ্রপ্রেমী।” অভিনেত্রী বিড়াল পছন্দ করেন না। কিন্তু বাঘের হাঁটা, চলা সব কিছুই একেবারে রাজার মতো। যা আকর্ষণ করে গার্গীকে। তিনি বললেন, “শিলাদিত্য আমার পারিবারিক বন্ধু। ও তো বন্যপ্রাণ প্রেমী। মনে হয় বছরের ৩০০ দিন শিলাদিত্য জঙ্গলেই কাটায়। গত ৩০ বছরে বিভিন্ন জঙ্গলে গিয়ে এই ছবিগুলো শিলাদিত্য তুলেছে। প্রতিটা ছবির সঙ্গে যে নিষ্ঠা জড়িয়ে আছে তা বোঝা যাচ্ছে। আর আমি তো বলি বাঘের মতো জীবন বাঁচো।”
দেবলীনারও এই অনুষ্ঠানে গিয়ে এক অন্য অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি বললেন, “ছবির প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সে দিন এক ঘণ্টার একটা আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। শুনতে খুব ভাল লেগেছে। শিল্পের মাধ্যমে সমাজকে সব সময়ই বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকে। ফটোগ্রাফি এক ধরনের শিল্প। শিলাদিত্যদার ছবিগুলো মনে গেঁথে গিয়েছে।” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহারাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল সুনীল লিমায়ে, জ়ুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া–র (জ়েডএসআই) অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলার প্রধান মুখ্য বনপালের ভার সামলানো প্রদীপ ব্যাস। আলোচনায় উঠে এসেছিল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ, জঙ্গল এবং বাঘ নিয়ে নানা আলোচনা।