কাঞ্চনা মৈত্র
শ্যুটিং সেরে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন টলিউডের এক অভিনেত্রী। সে সময় বেহালা থানা এলাকায় সিরিটি শ্মশানের কাছে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রের অভিযোগ, তিন জনই মদ্যপ ছিল। তাঁর শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয় বলে দাবি কাঞ্চনার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে ধরা পড়েছে আরও এক জন। আর এই গোটা সময়ে পথচলতি একটি মানুষের কাছেও সাহায্য মেলেনি বলেও উঠল অভিযোগ।
সোমবার রাতে নিজের গাড়িতেই ছিলেন কাঞ্চনা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক গৌর রায়। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি সিরিটি মোড়ের কাছে পৌঁছলে তিন জন যুবক রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কাঞ্চনা। চালক গৌর রায় জানান, গাড়ি বারবার হর্ন দিলেও তারা সরেনি। গৌরবাবু তখন পাশ কাটিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। কাঞ্চনা জানান, এর পরেই হঠাৎ করে গাড়িতে জোরে কিছু পড়ার আওয়াজ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গৌরবাবু গাড়ি থামিয়ে, জানলার কাচ নামিয়ে, কী হল দেখার চেষ্টা করেন। গৌরবাবুর কথায়, ‘‘গাড়ি পাশ কাটিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম, কোনও ধাক্কা লাগেনি।’’ কাঞ্চনার দাবি, তখন জানলার পাশে দুই যুবক এসে, কোনও কথা না শুনেই তাঁদের উদ্দেশে বলতে থাকে, কেন গাড়িটা তাদের ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করছে। কথার মাঝেই এক যুবক জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয় বলে জানান কাঞ্চনা।
পুলিশ জানিয়েছে, কাঞ্চনা ও গৌরবাবু গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকদের কাছে চাবি ফেরত চাইতেই শুরু হয় চরম হেনস্থা। ওই যুবকেরা দাবি করে, কাঞ্চনার গালে দশটা থাপ্পড় মারতে হবে চালক গৌরকে। কাঞ্চনাকেও দশটা থাপ্পড় মারতে হবে পাল্টা। কাঞ্চনার দাবি, এতে রাজি না হলে তাঁকে কান ধরে উঠ-বোস করার নির্দেশ দেয় ওই যুবকেরা। দাবি করে, তার পরেই তারা ভেবে দেখবে গাড়ির চাবি ফেরাবে কি না।
কাঞ্চনার দাবি, সে সময় অনেকেই পাশ দিয়ে যেতে যেতে ঝামেলা দেখেছিলেন। কিন্তু কেউই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। এ ভাবে প্রায় ২০ মিনিট চলার পরে হঠাৎই একটি পুলিশের গাড়িকে আসতে দেখে কাঞ্চনা দৌড়ে গিয়ে গাড়িটিকে থামিয়ে সব খুলে বলেন এবং সাহায্য চান। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি ছিল তারাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লা সানার। রাতে এলাকায় টহল দিতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি।
কাঞ্চনা জানান, ওঁর তৎপরতায় তিনি এবং গৌরবাবু আরও বড় হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কাঁদতে থাকি চাবি দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই তিন যুবক ছাড়া তো দূরের কথা, বরং আমার অবস্থা দেখে মজা পাচ্ছিল। পরে এক পুলিশকর্মী এসে আমাকে বাঁচান। তখন আবার ওই যুবকেরা পাল্টা দাবি করে যে আমি আর চালক মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলাম। অথচ পুলিশ চাইলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই বুঝতে পারবে কারা মদ্যপ ছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy