প্রায় ৯ মাস আগের কথা। দক্ষিণের হেমা কমিটির আদলে বাংলাতেও একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সেই কমিটি তৈরির দায়িত্ব নাকি দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। কমিটিতে আইনজীবী, চিকিৎসক, সমাজকর্মীদের রাখার চিন্তাভাবনাও হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক দফা বৈঠকও করেছিলেন ঋতাভরী। ২০২৪ সালের শেষের দিকে টলিপা়ড়ার অন্দরে একের পর এক নারী নিগ্রহের অভিযোগ উঠে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক অরিন্দম শীল-সহ অনেকের বিরুদ্ধে। ঋতাভরী নিজেও প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকেও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। সে সময় ঋতাভরী ছা়ড়াও সরব হয়েছিলেন অনেকেই। সেই কমিটি কি আদৌ তৈরি হল? এই কমিটির ভবিষ্যৎ কী? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নারী নিগ্রহ বন্ধের উদ্দেশ্যে যে কমিটি তৈরির উদ্যোগ হয়েছিল, সেই কাজ কত দূর এগোল? এ প্রসঙ্গে ঋতাভরী বললেন, “আমি সঠিক ভাবে জানি না, কমিটি তৈরি হয়েছে কি না। আমায় বলা হয়েছিল তৈরি হবে।” অভিনেত্রী নিজেও তাঁর সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তার পর কি কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি বা কমিটিকে দিয়ে কোনও পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করেছিলেন ঋতাভরী? নায়িকা বললেন, “আমায় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিছু লোককে নিয়ে তৈরি করা হবে এই কমিটি। তার পর অনেকটা সময় চলে যায়। কিন্তু, আমি আর কোনও খবর পাইনি। দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিরক্ত করব না বলে অরূপ বিশ্বাসকে নিজে বেশ কয়েক বার ফোন করেছি।”
তার পর কি কোনও উত্তর পেয়েছেন অভিনেত্রী? ঋতাভরীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে জানানো হবে এমনটাই বলা হয়েছিল। ঋতাভরী বলেন, “কিছুই জানতে পারিনি। অরূপবাবুর সহকারীকেও যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু, এখনও কোনও উত্তর পাইনি। এখনই সরাসরি দিদির কাছে যেতে চাইছি না। অরূপবাবুর উপর ভরসা আছে। তা ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীকে যখন তখন বিরক্ত করা ঠিক বলে আমি মনে করি না।”
এই কমিটির আদৌ কোনও ভবিষ্যৎ আছে কিনা, এই প্রশ্নেই অভিনেত্রীর সমাজমাধ্যমের পাতা ভরে গিয়েছে। নায়িকা বললেন, “মানুষ তো সারাক্ষণই প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু আমি ভরসা হারাইনি। আরও কিছু দিন অপেক্ষা করব। তার পর সরাসরি দিদির সঙ্গে কথা বলব।”