অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর শুটিং থেকে দু’দিন ছুটি পেয়েছিলেন স্বস্তিকা দত্ত। এই ছবির শুটিং করতে গিয়েই অভিনেত্রীর বাঁ চোখে বড় দানার বালি ঢুকে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়েছে কর্নিয়ায়। এ কথা পরিচালক জানিয়েছিলেন আনন্দবাজার ডট কমকে। এখন তাঁর চোখের কী অবস্থা? কেমন আছেন স্বস্তিকা?
আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেছেন, “দু’দিন মোবাইলের থেকে একেবারে দূরে। আলো সহ্য করতে পারছি না। ব্যথা রয়েছে। তাই ঘর অন্ধকার করে রাখছি। রবিবার থেকে আবার শুটিং শুরু। সারা ক্ষণ হয় অ্যানাসথেটিক ড্রপ দিচ্ছি নয়তো আইপ্যাক লাগিয়ে রাখছি।”
আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনা তাঁর মনের জোর একটুও কমাতে পারেনি। বরং জেদ আরও বাড়িয়েছে। তাঁর কথায়, “ওষুধ দিয়ে অবশ করে হোক বা আইপ্যাক লাগিয়ে... শুটিং আমি করবই।”
আরও পড়ুন:
ঘটনাটি বুধবারের। ছবির গল্পকার এবং অন্যতম চিত্রনাট্যকার জ়িনিয়া সেন জানিয়েছিলেন, টানা দু’দিন কর্নিয়ায় ক্ষত নিয়ে রাতভর বানতলার একটি বাড়িতে শুটিং করেছেন স্বস্তিকা। বলেছিলেন, “চোখে পিন ফোঁটার মতো অসহ্য যন্ত্রণা। ভাল করে তাকাতে পর্যন্ত পারছিল না।" তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসক রূপককান্তি বিশ্বাস অ্যানাসথেটিক ড্রপ দিয়েছিলেন। তার জেরেই মিনিট ২০ চোখ খুলতে পারছিলেন স্বস্তিকা। ওই অবস্থাতেই ওষুধ আর আইপ্যাক দিয়ে দু'দিন, দু'রাত শুটিং করে গিয়েছেন। ছুটি নেননি।
কথাপ্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেছেন, “খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। শুধু চোখ নয়, আরও কিছু ঘটেছিল আমার সঙ্গে। কাউকে বলিনি।” যেমন, লাভার পাহাড়ি এলাকায় শুটিং করতে যাওয়ার আগে কাঁধে হঠাৎ হ্যাঁচকা টান! হাত নাড়াতে পারছিলেন না। সেখানকার শুটিং সেরে শহরে ফিরতে না ফিরতেই প্রচণ্ড জ্বর-সর্দি-কাশি। কলকাতায় শুটিং শুরুর দ্বিতীয় দিনে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত। স্বস্তিকার কথায়, “আমারও জেদ চেপেছে। যত ঝড় বয়ে যাক, কখনও কাজ বন্ধ করব না।”