Advertisement
E-Paper

‘বাবা থাকে মেঘের মধ্যে, সূর্য কিরণে,’ সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মেঘের বাড়ি পৌঁছে গেলেন মেয়ে?

প্রতি পদে বাবাকে স্মরণ করেন স্বস্তিকা। প্রতি মুহূর্তে নিজের মধ্যে তাঁর ছায়া খুঁজে পান। মিল পেলেই শিশুসুলভ আনন্দে তা ভাগ করেন অনুরাগীদের সঙ্গে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১৭
প্রয়াত বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

প্রয়াত বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

‘মেঘ পিয়ন’ না হয়েও হঠাৎ মেঘের দেশে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়! সেখানেই আবিষ্কার করলেন বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। মেঘের পারে বাবাকে খুঁজতে গিয়ে নিজের মধ্যে আরও একবার প্রয়াত অভিনেতাকে নতুন করে খুঁজে পেলেন তিনি। সেই আনন্দ যথারীতি ভাগ করে নিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে।

অনেকেই অন্যমনস্ক হলে বা খুব মন দিয়ে কিছু ভাবার সময় নিজের অজান্তে লক্ষ্মী ট্যারা হয়ে যান। চোখের মণির এই সামান্য স্থানবদল অনেকের চেহারাতেই বাড়তি লাবণ্য যোগ করে। যেমন করত সন্তু মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে। স্বস্তিকার কথায়, “ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বাবা একটু বেশি মনোযোগ দিয়ে কথা বললে চোখটা কেমন অন্য রকম হয়ে যেত। অন্যমনস্ক হয়ে রইলেও চোখটা সেই অন্য রকম। আনমনে কথা বললেও দেখতাম, চোখের মণিটা কেমন যেন ফট করে আলাদা হয়ে যেত। একটু বড় হতে বুঝলাম একে বলে লক্ষ্মী ট্যারা।” প্রয়াত অভিনেতার ওই রূপ অভিনেত্রী মেয়ের চোখে ‘ভারী মিষ্টি’। বাবার ওই চেহারা আজও তাই মনে গেঁথে তাঁর।

ছেলেবেলায় না বুঝেই বাবার কাছে আবদার করতেন, “ওই রকম করো না চোখটা, এটা বললেই বাবা বলত, ‘আরে ও রকম ইচ্ছে করলেই হয় না, করা যায় না।” কারণ, ‘লক্ষ্মী ট্যারা’ ব্যাপারটাই যে বিশেষ! বাবা চলে গিয়েছেন। তাঁর সেই চাহনি রেখে গিয়েছেন বড় মেয়ের চোখে! বোন অজপা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্প করার সময়েও স্বস্তিকা শুনেছেন, তাঁর চোখদুটো নাকি ঠিক প্রয়াত অভিনেতার মতো হয়ে গিয়েছে, অন্য রকম!

বোনের বলা কথাই অভিনেত্রী আবিষ্কার করলেন সদ্য। সোমবার বিমানে চড়ে ফিরছিলেন। বেলাশেষে সূর্যের আলোয় ঝলমলে আকাশ। মেঘের বুক চিরে যেতে যেতে বারে বারে তাঁর মনে পড়েছে বাবাকে। মনে হয়েছে, “এই আকাশে বাবা থাকে, মেঘের মধ্যে, সূর্যের কিরণের মধ্যে।” তখনই এক ফালি রোদ মুখেচোখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাঁর। স্বস্তিকা মুঠোফোনে বন্দি করেছিলেন সেই আলোমাখা মুহূর্ত। ছবি দেখতে গিয়ে বিস্ময়ে হাবুডুবু খেয়েছেন তার পরেই, “ওমা ফটোটায় তাকিয়ে দেখি, সেই বাবার মতন হয়ে আছে চোখটা।”

স্বস্তিকার কল্পনা, বিমানটি বুঝি তাঁর বাবার বাড়ির আশপাশেই ছিল। “আমিও আছি দেখে বোধহয় টুক করে এসে জানান দিয়ে গেল।”

Santu Mukhopadhyay Swastika Mukherjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy