ছবির সেটে নুসরত, যশ, মিমি
কালো টপ, রিপড জিনস আর গা ভর্তি ট্যাটু! নুসরত জাহান কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন, গাড়ি থেকে না বেরোতে। আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এজেন্ট ৯-কে খোঁজার...
সাতটা টেকের পর শট পছন্দ হল পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের। লকডাউন পরবর্তী প্রথম বাংলা ছবি ‘এসওএস কলকাতা’-র প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ে নুসরতকে পাওয়া গেল এক অচেনা রূপে।
বেশ কয়েক মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে তিনি। কেমন লাগছে? ‘‘অনেক দিন পর কাজ শুরু করলাম তো। বেশ নার্ভাস লাগছে,’’ বললেন নুসরত। শুটিংয়ের আগের রাতে স্ক্রিপ্ট পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন স্ত্রীর মনোবল বাড়ান নিখিল (জৈন)। কথা বলার মাঝেই নুসরতের ফোনে এল শাশুড়ির উৎকণ্ঠাভরা মেসেজ। নিজের কুশল জানিয়ে নায়িকা এগোলেন মেকআপ রুমের দিকে। লুক চেঞ্জ হবে। ছবিতে তাঁর দুটো লুক। ‘‘গল্পটা ইন্টারেস্টিং। দশ বছর পিছিয়ে যাবে,’’ নুসরতের রহস্যমাখা হাসি ধরা পড়ল চোখে। মুখ যে মাস্কে ঢাকা। অংশুমান বললেন, ‘‘লকডাউনে গল্প লিখেছি বলে, নিয়মবিধি মেনে শুটিং করতে অসুবিধে হবে না। অ্যান্টি টেররিজ়ম স্কোয়াড নিয়েই ছবির গল্প। এক অফিসারের চরিত্রে যশ দাশগুপ্ত। ওই বিভাগের ট্র্যাকিং রিলেটেড কাজের এক দক্ষ কর্মী নুসরত।’’
আরও পড়ুন: ‘বন্ধুরা বলে,আমাকে দেখলে বাঙালি মনে হয়!’
পরের শট চলার ফাঁকে সাদা ফুলস্লিভ শার্ট ও নীল ট্রাউজার্সে দেখে নুসরত মজা করে বললেন, ‘‘এতক্ষণে এজেন্ট ৯-কে পেলাম।’’ অফস্ক্রিন বন্ধুত্বের রেশ পাওয়া গেল তাঁদের কথায়, হাসিতে।
দ্বিতীয় দিনের শুটিং ছিল মিমি ও যশকে নিয়ে। ছবিতে যশের স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন মিমি। দুই নায়িকার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? ‘‘মিমি ভাল অভিনেত্রী। আবার নুসরত পরিচালকের কথামতো নিজেকে ভাঙতে পারেন,’’ বললেন যশ।
নতুন প্রযোজনা সংস্থা, একসঙ্গে দুই নায়িকাকে পর্দায় কতটা সামলাতে পারবেন পরিচালক! স্টুডিয়ো থেকে বেরোনোর সময়ে কানে এল, দুই নায়িকাকে একসঙ্গে কোনও দৃশ্যেই রাখা হয়নি...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy