স্পর্শসুখ বুঝি একেই বলে? আন্তর্জাতিক পুরস্কারমঞ্চে কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! বলিউডে চর্চা, মাত্র কয়েক মুহূর্তে বদলে গিয়েছেন করিনা কপূর খান। অকারণে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। ক্ষণে ক্ষণে লজ্জায় লাল গাল। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়, জৌলুস নাকি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। রবিবার তিনি আশমানি নীল রঙের কাঁধখোলা গাউনে সেজেছিলেন। সঙ্গে মাননসই গয়না। ছবিশিকারিদের ক্যামেরা বলছে, করিনা যেন ‘জব উই মেট’ যুগে পৌঁছে গিয়েছেন।
সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মায়ানগরীতে ফিসফাস, শাহিদ কপূরকে জড়িয়ে ধরার ফলাফলই কি এটা?
আন্তর্জাতিক স্তরের একটি পুরস্কারমঞ্চে দিন দুই আগে শাহিদ-করিনা পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন। শুরুতে সামান্য অস্বস্তি, দ্বিধা, জড়তা ছিল। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়ো অনুযায়ী, সইফ আলি খানের ঘরনিই শাহিদের বাহু স্পর্শ করে কথা শুরু করেন। জড়িয়ে ধরেন হারানো প্রেমকে। অভিনেতা তখনও অস্বস্তিতে! কী করে অতীত, এমএমএস কিস্সা ভুলবেন তিনি? আরবসাগরের তীরে অনেক ঢেউ ভেঙেছে তার পর। চূড়ান্ত তিক্ততার মধ্যে দিয়ে ইমতিয়াজ় আলির জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দু’জনে। ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। শাহিদ-করিনা বরাবরের জন্য বিচ্ছিন্ন! শুধু বলিউড কেন, সেই অতীত দুই তারকার অনুরাগীরাও ভোলেননি।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি, নবাব-পত্নীর জীবন উলটপালট সইফের উপর হামলায়। কেবলমাত্র টাকার লোভে নাকি শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ ঢুকেছিলেন নবাবের ঘরে। প্রাথমিক তদন্তে এমনই দাবি পুলিশের। শাহিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে করিনা যেন সে সব থেকে দূরে। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যম-সহ সর্বত্র শাহিদ-করিনার সাক্ষাৎপর্ব নিয়ে রসালো চর্চা চলছে। অনুরাগীরা দীর্ঘ বিরহের পর তাঁদের হঠাৎ মিলনে দারুণ খুশি। কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি মজা করেই সম্ভবত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, শাহিদের সংসারে অশান্তির আগুন লাগল বলে! শাহিদ-পত্নী মীরা রাজপুতকেও দেখা গিয়েছে বিষণ্ণ বদনে, বিমানবন্দরে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বেবো মুখ খোলেননি।
সামাল দিয়েছেন শাহিদ। তাঁর দাবি, “আমাদের তো প্রায়ই দেখা হয়। এ সব নতুন কিছু নয়!”