সালটা ২০১৭। ঝুমুর ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিষেক হয় ঐন্দ্রিলার। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার সন্ধ্যায় যখন বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের প্রবেশ ঘিরে হইহই রব, ঠিক সেই সময় এমন একটা দুঃসংবাদে বিষণ্ণ হয়ে পড়ল টলিউড। আচমকাই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা। দীর্ঘ অসুস্থতার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু হঠাৎই ফের ছন্দপতন। গত কাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ভাসছে ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য কামনায়। তাঁর সতীর্থ থেকে অনুরাগী সকলের একটাই প্রার্থনা— শেষ দু’বারের মতো এ বারও লড়াই করে ফের যেন জয়ী হন তিনি। স্বল্প সময়ের এই কেরিয়ারেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
বহরমপুরের মেয়ে ঐন্দ্রিলার উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা নার্সিং হস্টেলের ইন-চার্জ। বাবা উত্তম শর্মা মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক। ছোটবেলা থেকেই নাচে পারদর্শী, পাশাপাশি আবৃত্তির শখ ছিল তাঁর। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জানতে পারেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । কলকাতার একটি নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন কিন্তু শারীরিক কারণে পড়াশোনা শেষ করে উঠতে পারেননি। কিন্তু ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। তাই মারণরোগের যন্ত্রণা সহ্য করে শুরু অভিনেত্রী হওয়ার লড়াই। দেড় বছর টানা চিকিৎসার পর প্রথম সিরিয়ালের সুযোগ। সালটা ২০১৭। ঝুমুর ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিষেক হয় তাঁর। এই ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব, তার পর সেই বন্ধুতা থেকেই সম্পর্ক।
‘ঝুমুর’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর তাঁকে দেখা যায় ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে। বিপুল জনপ্রিয়তাও পান এই ধারাাহিকের কারণে। ঠিক তার পরেই দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি। কিন্তু, অভিনেত্রী বলেছিলেন আবার ফিরে আসবেন। কথা রেখেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সম্প্রতি ক্লিক-এর ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজ়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই সিরিজ়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী।
সম্প্রতি সব্যসাচীর জন্মদিনে আদুরে বার্তা লেখেন অভিনেত্রী। কিন্তু হঠাৎই যেন সব তালগোল পাকিয়ে গেল। সকলের একটা প্রার্থনা— ফের ফিনিক্স হয়ে ফিরে আসুন ঐন্দ্রিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy