বিদ্রুপবাণে জর্জরিত ‘কানাডাকুমার’ জানালেন এ বার তিনি ভারতের নাগরিক হতে চলেছেন। -ফাইল চিত্র
২০১৯ সালে তিতিবিরক্ত হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন অক্ষয় কুমার— শীঘ্রই ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন। ৩ বছর পর খবর এল। বিদ্রূপবাণে জর্জরিত ‘কানাডা কুমার’ জানালেন, এ বার তিনি ভারতের নাগরিক হতে চলেছেন। আবেদন করেছিলেন ভারতীয় পাসপোর্টের। যা শীঘ্রই হাতে পেতে চলেছেন অভিনেতা।
তার পর কি মুছে যাবে তাঁর ডাকনামের ‘কলঙ্ক’?
‘কানাডা কুমার’! রসিকতা করে এই নামেই অনেকে ডাকেন তাঁকে। বার বার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেতা। কানাডার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি নাকি ভারতে আয়কর দেন! সেই পরিস্থিতি এ বার বদলাতে চলেছে বলেই দাবি অক্ষয়ের। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেতা বললেন, “২০১৯ সালে যেমন বলেছিলাম, ভারতীয় পাসপোর্টের আবেদন করব, করেছি। কিন্তু অতিমারি চলে এল। আড়াই বছর কিছুই এগোল না। তবে খুব শীঘ্রই হাতে পাব।”
সেই শুনে ফের কটাক্ষের ঝড়। নিন্দকরা বলছেন, “তার মানে উনি স্বীকার করে নিলেন, এত দিন বেআইনি ভাবে এ দেশে রয়েছেন?” আবার কেউ বললেন, “বিদেশের নাগরিক হয়ে এ দেশে চুটিয়ে ব্যবসা করলেন, আইন কি এঁদের জন্য অন্ধ?”
যদিও এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমি মনেপ্রাণে একজন ভারতীয়। আর আজীবন তা-ই থাকব।’’ তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, “তা হলে কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে কী করছেন?” অক্ষয়ের দাবি ছিল, এত বিরূপ প্রতিক্রিয়া, কটাক্ষের প্রয়োজন কী? তিনি একেবারেই অস্বীকার করছেন না বিষয়টি। গত ৭ বছর ধরে কানাডায় যাতায়াত করছেন নিয়মিত। কিন্তু এ-ও সত্যি যে, তিনি ভারতে কাজ করেন। এখানেই কর দেন। আসলে বিষয়টির সূত্রপাত অন্য ভাবে। ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ‘খিলাড়ি’।
তাঁর কথায়, ‘‘বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। আমার কোনও ছবি চলছিল না। তখন ভেবেছিলাম, কানাডা চলে যাব। ১৪-১৫টা ছবি ব্যর্থ হওয়ার পর কার ভাল লাগে! ভেবেছিলাম, অন্য কোথাও চলে গিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করব। বুদ্ধিটা আমার কানাডিয়ান বন্ধুরাই দিয়েছিল। তাই আমিও পাসপোর্ট করিয়ে নিই। ভেবেছিলাম, আবার কাজ ঠিকমতো হলে, ঘুরে দাঁড়াতে পারলে ফিরে আসব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy