Advertisement
০৫ মে ২০২৪

কুমার ইজ কিং

আনন্দে ভাসছেন অক্ষয়কুমার। ‘রুস্তম’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার এ বার তাঁর হাতে। সুখবরটি জানার পর তাঁর ভক্তকুল কিংবা পুরস্কারের জুরি, সকলকেই বিনীত গলায় অক্ষয় ধন্যবাদ জানিয়েছেন টুইটারে।

অক্ষয়কুমার

অক্ষয়কুমার

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫০
Share: Save:

আনন্দে ভাসছেন অক্ষয়কুমার। ‘রুস্তম’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার এ বার তাঁর হাতে।

সুখবরটি জানার পর তাঁর ভক্তকুল কিংবা পুরস্কারের জুরি, সকলকেই বিনীত গলায় অক্ষয় ধন্যবাদ জানিয়েছেন টুইটারে। তবে বিশেষ ভাবে বলেছেন ‘লাভলি ওয়াইফ’-এর কথা। টুইঙ্কল তাঁকে মজা করে বলতেন, ‘... খুব ভাল করেছ তুমি অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছ। কভি কুছ মিলতা তো হ্যায় নেহি...’ যাক, সবুরে মেওয়া ফলেছে। যে ‘রুস্তম’ ছবির জন্য তিনি এ বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলোয় মনোনয়নটুকুও পাননি, তার জন্যই কিনা অবশেষে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল!

বিতর্কটা শুরু হয়েছে এখান থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে অক্ষয়কে নিয়ে ট্রোলিং। তাঁদের বক্তব্য, আক্কির তুলনায় অনেক বেশি ডিজার্ভিং ক্যান্ডিডেট ছিলেন আমির খান ‘দঙ্গল’ ছবির জন্য এবং ‘আলিগড়’ ছবির জন্য মনোজ বাজপেয়ী। অনেকের আবার মত, অক্ষয়ের ছবির দেশভক্তির রঙের কারণেই এই লক্ষ্মীলাভ! যেমন, ‘এয়ারলিফ্‌ট’, ‘বেবি’। ‘রুস্তম’এ তিনি নেভি অফিসার। ‘গব্বর ইজ ব্যাক’এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই... আগামী ছবি ‘টয়লেট এক প্রেমকথা’তে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সুর...

এ সবের সঙ্গে এসেছে স্বজনপোষণের প্রসঙ্গ। ফিচার ফিল্ম ক্যাটিগরিতে জুরি চেয়ারপার্সন ছিলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন। তাঁর সঙ্গে অক্ষয়ের সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। ‘হেরাফেরি’, ‘ভাগম ভাগ’, ‘গরম মসালা’, ‘ভুলভুলাইয়া’... এই পরিচালক-অভিনেতার জুটি বক্স অফিস দেবতার আশীর্বাদ-ধন্য। এহেন অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রিয়দর্শন জানিয়েছেন, ‘‘খুব সহজভাবে আমি এর উত্তর দিতে পারি, যখন রমেশ সিপ্পি জুড়ি হেড ছিলেন অমিতাভ বচ্চন জিতেছিলেন। অজয় দেবগণ জিতেছিলেন প্রকাশ ঝা জুরিপ্রধান থাকাকালীন। তখন তো এই প্রশ্নগুলো ওঠেনি। তা হলে এখন উঠছে কেন!’’

অক্ষয় অবশ্য এ সব নেগেটিভ কথা শোনার মুডে মোটেও নেই। তিনি শুধু ভক্তদের ভালবাসাকেই মনে রাখতে চান। কিছু দিন আগে ‘কফি উইথ কর্ণ’তে স্ত্রী-র সঙ্গে এসেছিলেন অক্ষয়। সেখানে একটা সিক্রেট শেয়ার করেছিলেন। টুইঙ্কল তাঁকে বলেছিলেন, অক্ষয় ভাল ছবিতে অভিনয় করা শুরু না করলে, তিনি সেকেন্ড ইস্যু নেবেন না। তার পর থেকেই অক্ষয় ‘ওহ মাই গড’, ‘স্পেশ্যাল ২৬’, ‘হলিডে’র মতো ছবি করা শুরু করেন, যার গল্প একাধারে দর্শকদের মন ছুঁয়েছে ও ক্রিটিকদের প্রশংসা পেয়েছে। সেই সঙ্গে বক্স-অফিসেও ভীষণভাবে সফল। সে সব ছবি নাই বা পাক মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যাওয়ার্ড। এর সঙ্গে বলি, অক্ষয়কুমার কিন্তু এ দেশের একমাত্র অভিনেতা, যিনি ৩০০০ কোটি ক্লাবের সদস্য। ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে ১০৮টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন, যার নিট মুনাফা ৩০১০ কোটি টাকা!

এ ব্যাপারে তিন খানই তাঁর পিছনে। ৭১টি ছবিতে অভিনয় করে সলমন খানের ছবির রোজগার ২৯২৮ কোটি টাকা, সেখানে শাহরুখ খানের ৫৭টি ছবির মিলিত আয় ২১০০ কোটি। আমির খান অভিনয় করেছেন মাত্র ৩৯টি ছবিতে। প্রফিট ১৪৯৭ কোটি টাকা!

সত্যিই, অক্ষয়ই এখন সব অর্থেই বক্স অফিসের ‘কিং’!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Akshay Kumar National Award Rustom
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE