Advertisement
E-Paper

ক্যামেরাবন্দি কঠিন বাস্তব

সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলা ছবি। সেটে ছিল আনন্দ প্লাস

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
পায়েল, সোহম, তনুশ্রী

পায়েল, সোহম, তনুশ্রী

গাড়ির দরজা খুলে তনুশ্রীকে হাত ধরে বার করছেন সোহম। যে তনুশ্রীকে দর্শক চেনেন, ইনি সেই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী নন। ভীত, সন্ত্রস্ত। হাসপাতালের পোশাক পরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে আসছেন অভিনেত্রী। যে গাড়ির দরজা খুলে সোহম-তনুশ্রী বেরোলেন, সেই গাড়ির চালককে পর্দায় দেখা যাবে না। দেখা গেলে দর্শক জানতেন, চালকের আসনে ছিলেন খোদ পরিচালক রাজা চন্দ।

দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাবে শুটিং চলছিল রাজার নতুন ছবি ‘হারানো প্রাপ্তি’র। এটি ছবির ওয়ার্কিং টাইটেল। ক্লাবে প্রবেশের ও বেরিয়ে যাওয়ার পথে অনেকেরই চোখ আটকে যাচ্ছিল ছবির শুটিংয়ে। ক্যামেরার অ্যাঙ্গল বুঝে ঠিক কোন জায়গায় গাড়িটাকে দাঁড় করাতে হবে, সেটা নিখুঁত করার জন্য স্টিয়ারিংয়ে বসেছিলেন পরিচালক নিজে। শুটিং দেখতে পরিচালকের আমন্ত্রণে এসেছিলেন আরও এক পরিচালক, অভিজিৎ গুহ। আর জিম করে বেরোনোর পথে এক ঝলক শুটিং দেখলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।

রিমেক ছবির বদলে বাস্তবকে তার আসল রং-রূপে ধরার চেষ্টা করছেন রাজা। ‘কিডন্যাপ’-এর পরে এই ছবির গল্পও মৌলিক। রাজার কথায়, ‘‘খবরের কাগজে প্রায় রোজই ধর্ষণের ঘটনা পড়ি। কখনও কখনও খুব রাগ হয়। সিনেমার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছি...’’ ছবির গল্প বুনেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। পরিচালক জানালেন, কয়েকটি সত্যি ঘটনার আধারে গল্পটি লেখা হয়েছে। উপযুক্ত সময়ে সেই ঘটনাগুলির কথা তাঁরা প্রকাশ্যে বলবেন। ছবিতে ভিক্টিমের চরিত্রে তনুশ্রী (মায়া)। মায়াকে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে মৈনাক (সোহম) এবং মৈনাকের প্রেমিকার চরিত্রে পায়েল সরকার (নম্রতা)।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পরিচালকের সঙ্গে এটি সোহমের ষষ্ঠ ছবি। তাঁর কথায়, ‘‘কমেডি ছবির পাশাপাশি রাজাদার সঙ্গে সিরিয়াস ছবি আগেও করেছি। তবে এই ছবির বিশেষত্ব, এর গল্প। ধর্ষণে অভিযুক্ত অপরাধীরা কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাস্তি পাচ্ছে, কখনও আবার পাচ্ছেও না।’’ পরিচালক আশাবাদী এই ছবি সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে।

ছবিতে প্রথম বার পরিচালক ও সোহমের সঙ্গে কাজ করছেন তনুশ্রী। অভিনয়ের সুযোগ আছে, এমন ছবিই বেছে নিচ্ছেন তিনি। চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য অভিনেত্রীর প্রস্তুতি কেমন? ‘‘শিল্পী হিসেবে আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা সমাজ। এই চরিত্রটির জন্য আমি বহু নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেছি। ডকুমেন্টারিও দেখেছি,’’ বললেন তনুশ্রী।

তনুশ্রী ও পায়েল পর্দার বাইরে খুব বন্ধু। এই ছবির সুবাদেই তাঁরা প্রথম একসঙ্গে কাজ করছেন। পায়েলের কথায়, ‘‘এই ছবির মেকিং অনেক স্মার্ট। আমার চরিত্রটার মধ্যে শেডস আছে। শহুরে, কর্মরতা একটি মেয়ে, যার নৈতিক বোধের জায়গাটাও খুব স্ট্রং...’’

পরিচালক জানালেন, চরিত্রাভিনেতাদেরও আলাদা লুক টেস্ট করা হয়েছে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, মধুমিতা চক্রবর্তী প্রমুখ।

সিরিয়াস ছবি। তবে সব সময়ে তো আর চরিত্রের মধ্যে থাকা যায় না। সেট জমিয়ে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন সোহম। তিনি কবে কাকে টার্গেট করবেন, তা আগে থেকে কেউ জানেন না। সোহমের দোসর পরিচালকও। তবে রাজার স্বীকারোক্তি, ‘‘আমি ভাল মানুষ। এ সবের মধ্যে নেই।’’ ক্ষেত্র বিশেষে পরিচালক কড়াও বটে। যখনই ইউনিটের লোকজনের চেঁচামেচি মাত্রা ছাড়াচ্ছে‌, এমন জোরে তিনি হাঁক পাড়ছেন, নিমেষে সব ঠান্ডা!

ছবি: অর্পিতা প্রামাণিক

Raja Chanda রাজা চন্দ Upcoming Bengali Movies
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy