জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন, অর্থাৎ সংক্রান্তি পর্যন্ত প্রত্যেকটি মঙ্গলবার উপোস রেখে জয়মঙ্গলবারের ব্রত পালন করা হয়। বিবাহিত বা কুমারী, যে কোনও মহিলা এই ব্রত পালন করতে পারেন। অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য ছোটবেলায় এই ব্রত করতেন। তাঁর মতে, চলতি বছরটি নাকি মঙ্গলের। তাই তিনি আশাবাদী যাঁরা এত দিন এই জয়মঙ্গলবার ব্রত পালন করতেন না, তাঁরাও এ বার করবেন। এই ব্রতের রয়েছে বেশ কিছু আচার বিধি। যেমন-তেমন করে পুজো করলেই যে ফল মিলবে, তা নয়। কেমন এই ব্রতের নিয়ম, তা-ও জানালেন অভিনেত্রী।
অপরাজিতা জানান, কাঁঠাল পাতায় ১৭টি দূর্বা, যব, ধান এবং তুলসী পাতা দিয়ে একটা পানের মতো খিলি তৈরি করতে হয়। তার পর পাঁচটি ফল, মিষ্টি, ফুল বেলপাতা সহযোগে পুজোর ডালি সাজাতে হয়। এই পুজোয় অবশ্যই জবা ফুল নিবেদন করতে হবে। সমস্ত উপচার নিয়ে মন্দিরে গিয়ে মা কালীর কাছে পুজো দিতে হয়। তবে শুধু মা কালী নন, যে কোনও মাতৃকাশক্তির পুজো করলেই চলে।
আরও পড়ুন:
আসলে এই দিন মাতৃশক্তিকে চণ্ডিকা রূপে পুজো করা হয়। যে হেতু দেবী চণ্ডী দেবীদুর্গারই আর এক রূপ, তাই শক্তিমন্ত্র পাঠ করে মায়ের পুজো করা হয়। পুজো শেষে খিলিটা একটা কাঁঠালি কলার মধ্যে দিয়ে গিলে খেতে হয়। অপারজিতার কথায়, ‘‘আমি ছোট বেলায় করতাম। আসলে কোনও হওয়া কাজ আটকে থাকলে, কিংবা কোনও রোগভোগ প্রতিকারের জন্য জয়মঙ্গলবারের পুজো নিষ্ঠা ভরে করলে নাকি ফল মেলে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল যব। এটা হাতে নিয়ে কোনও প্রবাহিত জলে তিন বার ভাসালে বাধা বিঘ্ন কেটে যায়।”
এখন আর ব্রত পালনের সময় পান না অভিনেত্রী। তবে, বিশ্বাস অটুট। তিনি বলেন, “এখন আমার মাসি শাশুড়ি পুজো দিয়ে দেন। আমরা ওই যব ও কাঁঠালি কলা দিয়ে প্রসাদটা খেয়ে নিই।’’ অভিনেত্রী জানান এই বছরটা নাকি মঙ্গলের বছর। তাই এ বছর অনেকেই এই ব্রত পালন করবেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ফল পেয়েছেন কি অভিনেত্রী? তাঁর স্পষ্ট কথা তিনি ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষ। বলেন, ‘‘এই যে আমি চলে-ফিরে, নেচে বেড়াচ্ছি সবটাই ঈশ্বরের জন্য। যাই করি না কেন সব ঈশ্বরের নির্দেশ।’’