Advertisement
E-Paper

সইফ-কাণ্ড: ‘হ্যাঁ, আমিই করেছি’, জেরায় অবশেষে দোষ স্বীকার হামলাকারীর

জেরার মুখে সম্ভবত ভেঙে পড়েন অফিযুক্ত শরিফুল। জানান, পটৌদী প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা তিনিই করেন। সইফের হামলাকারীও তিনিই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৪
হামলাকারী শরিফুল জানিয়েছেন তিনিই সইফ আলি খানের আক্রমণকারী।

হামলাকারী শরিফুল জানিয়েছেন তিনিই সইফ আলি খানের আক্রমণকারী। নিজস্ব চিত্র।

রবিবার ভোরে সইফ আলি খানের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়েন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। তাঁকে ওই দিনই বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়। খবর, জেরার মুখে অবশেষে দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল। বলেছেন, “হ্যাঁ আমিই করেছি।” তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সইফ-করিনার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা তিনিই করেন। সইফের হামলাকারীও তিনিই।

জেরার মুখে শরিফুল আরও জানিয়েছেন, তিনি পটৌদী প্যালেস সম্বন্ধে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না। জানতেন না, সইফ আলি খানের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছেন। এমনকি, অভিনেতাকে পর্যন্ত চিনতেন না। তিনি পরে জানতে পারেন, যাঁকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনা পুনর্নিমাণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সে ক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে ফের পটৌদী প্যালেসে নিয়ে যাবে পুলিশ।

মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। ইতিমধ্যেই ওরলি এবং ঠাণে এলাকার দু’টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথা জেনেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওরলি এলাকার রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তাঁর চাকরিও গিয়েছিল গত অগস্টে। শনিবার দুই রেস্তরাঁয় হানা দেয় প্রশাসন। সইফের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দুই রেস্তরাঁ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরনো সাফাইকর্মীদের।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওরলির ওই রেস্তরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তাঁরা কর্মী ভাড়া নেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তাঁরা জানতে পেরেছেন, চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাঁকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার ভোরে ঠাণে থেকে গ্রেফতার হন শরিফুল। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ শেরানির দাবি, তাঁর মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো কোনও অভিযোগও পুলিশ আনতে পারেনি।

Sariful Saif Ali Khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy