নিজের শহরের প্রতি কী অভিযোগ চঞ্চলের? ছবি: ফেসবুক।
পেশার কারণে প্রায়ই শহরের বাইরে, দেশের বাইরে থাকতে হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। তাই নিজের ছেলে শুদ্ধকে বেশি সময় দিতে পারেন না। বহু দিন পরে তাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। অনেক মান অভিমানের পর বাবাকে দেখে ছেলের মুখে নাকি বাঁধভাহা হাসি ফুটে ওঠে! সন্তানের এই আবদার মেটাতে গিয়েই নাজেহাল অবস্থা হল পর্দার মৃণাল সেনের!
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার যানজট বিখ্যাত। সে দেশের বাসিন্দারা এই নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ জানান। তেমনই অভিযোগ এ বার জানালেন চঞ্চল। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে নগরপিতা বা পৌরপিতার কাছে তাঁর প্রার্থনা, ‘‘রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোন আশু পদক্ষেপ নেওয়া যায়? যে কোনও ভাবে, সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চলানোর ব্যবস্থা করা যায় না? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এই শহরে থাকি, তাই আমার এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়।’’ এও জানাতে ভোলেননি, প্রতি দিনের যানজটে ওষ্ঠাগত প্রাণ তাঁর। বাকি শহরবাসীরও। বিশেষ করে সন্তানদের অভিভাবকদের।
ছেলেকে বেশি সময় দিতে না পারলেও যখনই সুযোগ পান, শুদ্ধর আবদার মেটান। এই আবদার মেটাতে গিয়েই তিনি নিজের ছেলেবেলায় স্মৃতিচারণ করলেন। অভিনেতার ছেলেবেলায় এই আবদারের কোনও জায়গাই ছিল না। তিনি থাকতেন গ্রামে। বাবা স্কুলের শিক্ষক। সেই সময় গ্রামের ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে এক মাইল পথ হেঁটে স্কুলে যেত। মা-বাবাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কোনও দায়িত্ব থাকত না। ফলে, অভিনেতা কোনও দিন এই স্বাদ পাননি।
চঞ্চলের মতে, যানজটের মতোই ঢাকা শহরে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালানোও যথেষ্ট ঝক্কির। রাজধানীর জীবনযাত্রা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। যার জন্য শহরবাসীদের মারাত্মক পরিশ্রম করতে হয়। সেই পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, আমাদের মা-বাবা আমাদের মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাঁদের চেয়ে বেশি বৈ কম যুদ্ধ করছি না। আমাদের সন্তানদের মানুষ করার জন্য।’’
চঞ্চল এমনিতে তাঁর আশপাশের সব বিষয় নিয়ে সচেতন। নিজের দেশ সম্পর্কে কখনও তাঁকে খুব বেশি অভিযোগ করতে শোনা যায়নি। বরং বরাবর গর্ব করে দেশের কথা বলেন। কিন্তু শহরের যানজট যে তাঁকে কতটা নাজেহাল করে দিয়েছে, তা এ বার বোঝা গেল এই পোস্ট দেখেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy