Advertisement
E-Paper

অন্ধকার ঘরে রেখে আসা হয় মাছ-ভাত! ‘বারামুল্লা’ ছবিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এই রীতির নেপথ্যে আসল কারণ কী?

ভৌতিক ছবি হলেও সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ছবিতে। তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কিন্তু কী এই ‘গাড বাট’?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:০৮
মানব কৌলের ছবি ‘বারামুল্লা’য় দেখানো এই রীতি কী?

মানব কৌলের ছবি ‘বারামুল্লা’য় দেখানো এই রীতি কী? ছবি: সংগৃহীত।

ওটিটি-তে সাড়া ফেলেছে আনন্দ ধরের ছবি ‘বারামুল্লা’। এক দিকে, কাশ্মীরের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। অন্য দিকে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নানা রীতির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন পরিচালক। ছবিতে ‘গাড বাট’ নামে একটি রীতি দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে দর্শকের মধ্যে ইতিমধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

ভৌতিক ছবি হলেও সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ছবিতে। তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কিন্তু কী এই ‘গাড বাট’? ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি রোজ রাতে বাড়ির সবচেয়ে উপরের ঘরে চুপিসারে যান। সেই ঘরের মেঝেতে এক থালা ভাত ও মাছ রেখে আসেন তিনি। কার জন্য এই খাবার? প্রশ্ন করা হলেই সেই ব্যক্তি আকাশের দিকে আঙুল দিয়ে দেখান।

ক্রমশ দেখা যায়, সেই রহস্যময় পুরনো বাড়িটি আসলে কিছু কাশ্মীরি পণ্ডিতের, যাঁদের ১৯৯০ সালে হত্যা করা হয়েছিল। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মধ্যে এই ‘গাড বাট’ রীতি ছিল। রাতেই ভাত-মাছ দিয়ে এই রীতি পালন করতে হয়।

কাশ্মীরি ভাষায় ‘গাড’-এর অর্থ মাছ আর ‘বাট’-এর অর্থ ভাত। শীতকালে, বিশেষত ডিসেম্বর মাসে এই রীতি পালন করতেন কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা। গৃহদেবতাকে সন্তুষ্ট রাখতে এই কাজ করা হয়। বাড়িতে থাকা বিড়াল, কাক বা অন্য কোনও প্রাণীকে এই মাছ-ভাত দিয়ে গৃহদেবতাকে সন্তুষ্ট রাখা হয়। ছবিতেও তেমনই দেখানো হয়েছে। প্রাচীন আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন, এমন এক নেটপ্রভাবী এমনই দাবি করেছেন।

তবে এ শুধুই আধ্যাত্মিক রীতি নয়। জানা যাচ্ছে, এই রীতি উপলক্ষে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবারে মানুষ একত্র হন। একসঙ্গে সময় কাটান।

manav kaul Baramulla
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy