টক্কর। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তির নিরিখেই বিজয়ী নির্ধারিত হবে। নির্ধারণ করবে জনসাধারণই। —ফাইল চিত্র
‘বিগ বস ১৬’ শেষের পথে। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই জানা যাবে, কে বিজয়ী হবেন এ বারে। অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই অনুমান করেছেন, জিতবেন প্রিয়ঙ্কা চহর চৌধুরীই।
শুরু থেকে বিতর্কে ‘বিগ বস ১৬’। রিয়্যালিটি শোয়ের সেটের ভিতরে প্রতিযোগীদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থেকেছে। মধ্যস্থতায় আসতে হয়েছে সঞ্চালক সলমন খানকে। মারপিটের অভিযোগে একে একে প্রতিযোগীদের বাতিল করা হয়েছে। ‘বিগ বস’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তার পর ফলাফল ঘোষণার পালা।
কিছু দিন আগেই ‘বিগ বস ১৩’-য় অংশগ্রহণকারী অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান নির্মাতাদের পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলছেন, প্রিয়ঙ্কাই বিজয়ীর মুকুট মাথায় পড়তে চলেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “বিগ বস-এর প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমি এটা অনুমান করেছিলাম। তিন বছরের অভিজ্ঞতা এমনটাই।” চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে রেখেছেন তাঁদের মুখ, এমনটাই বলতে চেয়েছেন দেবলীনা।
‘চ্যানেলের মুখ’ হিসাবে প্রিয়ঙ্কার এই পরিচিতি নির্মাতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তাঁদের দিকে ক্রমাগত আঙুল উঠছে। প্রিয়ঙ্কা বিজয়ী হলে কী প্রতিক্রিয়া হবে দর্শক মহলে, তা ভেবে চিন্তিত তাঁরা।
Kuch bhi karlo jeetegi #PriyankaChaharChoudhary𓃵 hi. Though left watching it long back. But i assumed it first week of #BB16 . 3 saal ka experience jo hai 🤣. @BiggBoss https://t.co/YA2LcCloFC
— Devoleena Bhattacharjee (@Devoleena_23) February 6, 2023
প্রিয়ঙ্কা এবং শিব ঠাকরের মধ্যে চলেছে জোর টক্কর। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তির নিরিখেই বিজয়ী নির্ধারিত হবে। নির্ধারণ করবে জনসাধারণই। শিব এবং প্রিয়ঙ্কা দু’জনেরই সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে, দু’জনের যে কেউ-ই জয়ী হতে পারেন। শেষ অবধি কে জিতবেন, তা সময়ই বলবে। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা জিতলে কালার্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ যে উঠবে, তা-ও ঠিক।
কেবল সাধারণ দর্শক নন, এই অনুষ্ঠান নিয়ে তারকাদেরও নানা মত রয়েছে। চ্যানেলের ঠিক করে দেওয়া বা তাদের পছন্দ করা কেউ যে জয়ী হবেন, এ নিয়ে বক্তব্য আছে তাঁদেরও। কাম্যা সালাভা যেমন জানিয়েছেন, এ বার এমন কেউ জিতুন, যিনি চ্যানেলের মুখ নন। তিনি জানিয়েছেন, শিব বা স্ট্যানের মধ্যে কেউ জিতলে তিনি খুশি হবেন।
চ্যানেল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। নেতিবাচক অংশগুলি সম্পাদনা করা হয়, উঠেছে এমন অভিযোগও। এ হেন পরিস্থিতিতে নির্মাতারা গভীর সঙ্কটে পড়েছেন।