সলমন খান, এক সময় ছিলেন রোম্যান্টিক নায়ক। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ থেকে যে যাত্রার শুরু, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-এর পর ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ হয়ে ধীরে ধীরে বদলে গেলেন। হয়ে উঠলেন বলিউডের ‘ভাইজান’। এখন তাঁর ছবি মানেই অ্যাকশন। ব্যক্তিগত প্রেম জীবনও তাঁর দারুন রঙিন, আবার সেই সলমনই নাকি হুমকি দেন অন্য নায়কদের! অথচ, তাঁর নিজেরই প্রাণনাশের হুমকি আসে প্রতিনিয়ত। তবু তিনি নিজেকে বলিউডের সেরা অভিনেতাদের একজন বলে নাকি মনেই করেন না।
চলতি বছর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সলমন বলেছিলেন, তিনি নিজেকে সেরা বলে মনে করেন না। সেই দৌড়েও তিনি নেই। এমনকি ছবি বানানোর পর তিনি একবারও ভাবেন না ছবিটি জনপ্রিয়তা পাবে কিনা, ভাল ব্যবসা হবে কিনা! গত কয়েক বছরে সে ভাবে সাফল্য পাননি সলমন। চলতি বছর খুশির ইদে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর ছবি ‘সিকন্দর’। কিন্তু বহু দিনের প্রত্যাশা ব্যর্থ করে ছবিটি। বক্স অফিস হতাশ করে ভাইজানকে। কিন্তু অভিনেতা দাবি করেন, তিনি ছবির সাফল্য কামনা করে কোনও দিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেননি।
ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, “এত বছর অভিনয় করছি। প্রায় ১০০টি ছবি করেছি। অনেকেই বলেন আমি নাকি দেরি করে সেটে পৌঁছোই। সব সময়ই যদি দেরি করে শুটিংয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসি, তা হলে কি এতগুলি বছর কাজ করা সম্ভব!” সলমন সাফ জানান, তাঁর জীবনে শৃঙ্খলাবোধের অভাব নেই। বরং তাঁর দৈনন্দিন চর্যা অন্যদের থেকে একটু আলাদা। তিনি নাকি দিন শুরু করেন বেলা সাড়ে ১১টা-১২টায়। তাই পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। তা ছাড়া, ঘুম থেকে ওঠার পর তাঁর নানা কাজ থাকে।
কিন্তু এত কিছুর পরও সলমন নিশ্চিত তিনি নিজেকে বলিউডের সেরা অভিনেতাদের একজন বলে মনে করেন না। আসলে তিনি সাফল্যের পিছনে দৌড়তেই পছন্দ করেন না। বলেন, “আমি ভাবি, আদৌ কোনও ছবির সাফল্যের জন্য আমি কখনও প্রার্থনা করেছি? আমার মনে হয় না, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছাড়া অন্য কোনও ছবির সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করেছি। তবে হ্যাঁ, আমি জানি, আমার মা, বোন এবং যাঁরা আমাকে ভালবাসেন তাঁরা নিশ্চয়ই আমার সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছেন।”
তবে কি নিজের ছবি নিয়ে একেবারেই ভাবেন না সলমন? এর উত্তরে ভাইজান বলেন, “দর্শক আমার কাজ, আমার অভিনয়ে আনন্দ পাচ্ছেন কিনা একমাত্র সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি কখনওই নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা বলে দাবি করি না।”