বুধবার রাতে শহর জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারের সকাল থেকেই অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা কলকাতা। তবে গঙ্গার পূর্ব পাড়ে দক্ষিণশ্বরে অবশ্য তেমন ভাবে ঠান্ডা-গরম অনুভব করার কথা দর্শনার্থীরা ভাবতেই পারেননি। কারণ, সকলের চোখ উৎসুক হয়েছিল বলিউডের প্রিয় নায়িকাকে দেখার জন্য। বৃহস্পতিবার সকালে মা ভবতারিণীর দর্শন করতে দক্ষিণেশ্বরে এসেছিলেন কাজল। পরনে পিচ রঙা শাড়ি। আদ্যোপান্ত বাঙালি লুক। নতুন ছবির কাজে শহরে এসেছেন অভিনেত্রী। তাই মা-কে পুজো দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করলেন অভিনেত্রী।
আচমকা যদি প্রিয় নায়িকাকে চোখের সামনে দেখা যায়, তাঁকে এক বার ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করবেন না, তা-ও কি হয়! কাজলকে দেখে অনুরাগীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল দেহরক্ষীদের পক্ষে। তাঁর নতুন ছবি ‘মা’। সেইজন্যই শহরে আসা নায়িকার। পুজো দিয়ে বেরিয়ে সকলের সামনে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন কাজল। তার পর পাড়ি দিলেন নিজের গন্তব্যে। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে এল সেই প্রথম ছবি।
মা ভবতারিণীর কাছে কী প্রার্থনা করলেন অভিনেত্রী? কাজল বললেন, “মন্দিরে এসে মনে হচ্ছে নিজের মায়ের কাছে এসেছি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম। আশীর্বাদ নিলাম। আমার আগামী ছবি 'মা' স্পিরিচুয়াল হরর। ছবিতে ভীষণ শক্তিশালী একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আশা, সকলের ভাল লাগবে।”
পরিচালক বিশাল পুরিয়ার আগামী ছবি ‘মা’। আগামী সপ্তাহে ছবির প্রচার ঝলক মুক্তি পাবে। সবটা যেন শুভ হয়— সেই আশীর্বাদ চাইতেই কলকাতায় এসেছিলেন নায়িকা। পুজো দিয়ে অভিনেত্রী রওনা দেন বিমানবন্দরের উদ্দেশে। কাজল ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে খুদে অভিনেত্রী রূপকথা চক্রবর্তীকে। এই ছবির জন্য কাজলকে বাংলা শেখানোর অনেকটা দায়িত্বই নিয়েছিল সে। ছবি প্রসঙ্গে রূপকথা আনন্দবাজার ডট কমকে জানায়, ছবিতে ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। কাজলের গ্রামের বাড়ির দেখভাল করা পরিবারের মেয়ে সে। টানা ৪ ঘণ্টা প্রস্থেটিক মেকআপ করতে হত রূপকথাকে। সেই রূপটান তুলতে সময় লাগত ঘণ্টা দুয়েক। প্রথম দিন রূপরেখাকে দেখে তার মা খুবই ভয় পেয়েছিলেন।