২০১৭-র ট্রেন্ড, ট্রোলিং!
খেলার দলে সেই সদস্যকে মনে পড়ে? বন্ধুদের সঙ্গে মিলে যাকে আপনি গাঁট্টা মারতেন, যার টি-শার্টটা ধরে টেনে দিতেন শুধু রংটা আপনার পছন্দ নয় বলে? অথবা ক্লাসের সেই সহপাঠী, যে সকলের সঙ্গে মিশতে পারত না বলে আপনি নানা প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতেন? ইন্টারনেটে ট্রোলিংটাও সে রকমই। যদিও বদলে গিয়েছে স্থান-কাল-পাত্র। আর এখানে পাত্র অবশ্যই কোনও তারকা।
অন্তর্বাস পরা ছবি শেয়ার করেছিলেন এষা গুপ্তা। লেন্সের পিছনে ছিলেন ফটোগ্রাফার অর্জুন মার্ক। এষার সেই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক।কেন এ ভাবে শরীর দেখাচ্ছেন এষা? এই ছিল সমালোচকদের প্রশ্ন। জবাবে, টপলেস ছবি পোস্ট করেছিলেন নায়িকা। লিখেছিলেন, ‘এটা আমার শরীর। আমার ছবিগুলো নান্দনিক ভাবেই তোলা। খুব সূক্ষ্ম একটা লাইন পার হলে সেটাকে ভালগার বলে। এগুলো তা নয়। আমার ছবি নিয়ে কাদের এত সমস্যা?’
শুধু বলিউড নয়, হলিউডেও এখন পাড়ি জমিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। নিঃসন্দেহে তিনি এখন একজন গ্লোবাল আইকন। তবে যেখানেই থাকুন না কেন, স্বাধীনতা দিবসের সেলিব্রেশন চাই ‘দেশি গার্ল’-এর। তার ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও। তেরঙা একটি স্কার্ফ নিয়ে মার্কিন মুলুকে বসে স্বাধীনতা দিবস সেলিব্রেট করছেন নায়িকা। ব্যস, এতেই ট্রোলড নায়িকা। সমালোচকরা বলেছিলেন, ‘তেরঙার অপমান করেছেন প্রিয়ঙ্কা’। যদিও পাল্টা কোনও উত্তরই দেননি অভিনেত্রী।
অস্ট্রেলীয় টুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নির্বাচিত হয়ে ব্রিসবেনে গিয়েছিলেন পরিণীতি চোপড়া।দ্বীপ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ইনস্টা অ্যালবামে একটি ছোট্ট কোয়ালাকে কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন পরিণীতি। সমালোচকদের নজর পড়েছিলকোয়ালার পায়ের দিকে। সেটি পরিণীতির বুকের ওপর থাকায় এক জনের মন্তব্য, ‘কী লাকি কোয়ালা।...’।
অস্ট্রেলীয় টুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নির্বাচিত হয়ে ব্রিসবেনে গিয়েছিলেন পরিণীতি চোপড়া।দ্বীপ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ইনস্টা অ্যালবামে একটি ছোট্ট কোয়ালাকে কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন পরিণীতি। সমালোচকদের নজর পড়েছিলকোয়ালার পায়ের দিকে। সেটি পরিণীতির বুকের ওপর থাকায় এক জনের মন্তব্য, ‘কী লাকি কোয়ালা।...’।
নিউ ইয়র্কের রাস্তায় রণবীর কপূরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন মাহিরা খান। পাকিস্তানী অভিনেত্রীর এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ধর্মের দোহাইয়ের পাশাপাশি, মেয়ে হিসেবে তাঁর এমন কাজ করা ঠিক হয়নি বলে ট্রোলড হয়েছিলেন মাহিরা। পরে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের লোকজনও সেই ছবি পছন্দ করেননি।
ট্রোলিংয়ের তালিকায় চলে এসেছে স্টার কিডরাও। ট্রোলড হতে হয়েছে আরাধ্যা বচ্চনকেও!আরাধ্যা কি স্কুলে যায় না? যদি ও স্কুলে যায়, তা হলে স্কুল বন্ধ রেখে সারাক্ষণ মায়ের সঙ্গে ঘোরার অনুমতি কী করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ? নাকি আরাধ্যাকে বিউটি উইদাউট ব্রেনের কম্বিনেশনে তৈরি করতে চান তাঁরা? এমনই প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করা হয়েছিল। যদিও অভিষেক পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন।জবাবে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি যতদূর জানি, সপ্তাহের শেষে বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ থাকে। আরাধ্যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে স্কুলে যায়…।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy