অভিনয় করেন না খুব একটা। তবে তাঁকে দেখা যায় ছোট পর্দায়, নানা ধরনের রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে। খ্যাতনামী শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ রাখেন না। বিচ্ছেদের পর নিজের পরিচয়ে বাঁচতেই ভালবাসেন। তবু তাঁর চার পাশে আলোর ঝলক। ছবিশিকারিদের নজর সব সময় তাঁর দিকেই। তিনি মালাইকা অরোরা। প্রায় তিন দশক পরেও যাঁর ‘ছাইয়াঁ ছাইয়াঁ...’ ভুলতে পারেনি দর্শক।
মালাইকার খ্যাতি তাঁর নিটোল শরীর আর তুখোড় সাজ-সচেতনতার জন্য। সারা জীবন ‘ফ্যাশন’-এ থেকেও তিনি গতানুগতিক ফ্যাশনের বাইরে এসে তৈরি করে ফেলেছেন নিজস্ব ‘স্টাইল’। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন এই ফ্যাশনের আড়ালেই মুখ লুকোতে হয় কখনও কখনও। আসলে এই ফ্যাশন তাঁকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।
মালাইকা বলেন, “ফ্যাশন নিজেকে প্রকাশ করার একটা পন্থা। কারও মেজাজ, অভিব্যক্তি অথবা সচেতনতা প্রকাশ পায় এই ফ্যাশনের মাধ্যমে। অনেক সময়ই আমরা ফ্যাশনে লুকিয়ে পড়ি। বলা যায় এটা না বলা কথার প্রকাশ, যা নিজেই ভাষা হয়ে ওঠে।”
পঞ্চাশ পেরিয়েও হাজার হৃদয়ে স্পন্দন তোলেন মালাইকা। তাঁর জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আত্মবিশ্বাস, অকপটে জানান তিনি। বলেন, “আমার শরীর বা চামড়ার রং নিয়ে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আপনি যত দামি প্রসাধনই ব্যবহার করুন, আত্মবিশ্বাসী না হলে, সব মাটি।” দিনের পর দিন সাফল্য আর ব্যর্থতার সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে আজকের দিনটি দেখেছেন মালাইকা। জানিয়েছেন, তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতার কথা।
মালাইকা বলেন, “খুব ছোটবেলা থেকেই আমি ফ্যাশন নিয়ে সচেতন। নিজের পোশাক নিজে বানিয়ে নিতে চেষ্টা করতাম। যেখানেই যেতাম নিজের মতো স্টাইল করার চেষ্টা করতাম। আমার সৌন্দর্যের অঙ্গ এটি।”