বনি সেনগুপ্ত, কৌশানি মুখোপাধ্যায় এবং রক্তিম চট্টোপাধ্যায়।
ক্রমশ লম্বা হচ্ছে কোভিড আক্রান্তের তালিকা। এ বার করোনার থাবা অনুপ সেনগুপ্তের পরিবারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কোভিড পজিটিভ বনি সেনগুপ্ত। অভিনেতা মন্দারমণি থেকে রাজা চন্দের ‘আম্রপালি’র শ্যুট সেরে ফিরেছেন সদ্য। তার পরেই শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। আচমকা প্রচণ্ড সর্দি-কাশি। অল্প গা ম্যাজম্যাজ। পরীক্ষা করাতেই ফলাফল ইতিবাচক। বনির পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাঁর মা এবং ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তের শরীরেও। আনন্দবাজার অনলাইনকে এ খবর জানিয়েছেন পরিচালক অনুপ।
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে পরে কথা বলেন অভিনেতাও। জানান, নিজের বাড়ির নীচের ফ্ল্যাটে নিভৃতবাসে রয়েছেন। করোনা পরীক্ষা হয়েছে অনুপ এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায়েরও। তাঁদের ফলাফল এখনও জানা যায়নি।
অন্য দিকে, বনি অভিনীত ‘জতুগৃহ’ ছবির প্রযোজক রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ও করোনার কবলে। পাশাপাশি, প্রেক্ষাগৃহেও এখন দর্শকসংখ্যা ৫০ শতাংশে সীমাবদ্ধ। স্বাভাবিক ভাবেই তাই পিছিয়ে গিয়েছে ছবির মুক্তি। প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ছবিটি ১১ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। করোনা আবহে আপাতত তা স্থগিত। আনন্দবাজার অনলাইনকে রক্তিম বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। প্রেক্ষাগৃহে ১০০% আসনে দর্শক আসুক। তখন মুক্তি পাবে ‘জতুগৃহ’৷ বনির কথায়, তাঁর আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ডাবিং বাকি। তাঁরা দুজনেই কোভিডে আক্রান্ত। ফলে, ডাবিং এখন সম্ভব নয়। অগত্যা বাধ্য হয়ে পিছোতে হচ্ছে ছবি-মুক্তির দিন।
গত ডিসেম্বরের শেষে কলকাতায় ‘জতুগৃহ'র বাকি শ্যুটিং শেষ হয়েছে৷ একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য-রোমাঞ্চ গল্পকে পটভূমিকায় রেখে তৈরি সপ্তাশ্ব বসুর এই ছবি। তাতে এই প্রথম এক বয়স্ক যাজকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে পায়েল সরকারকে। থাকছেন নবাগতা পিয়ালি চট্টোপাধ্যায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy