কলেজ পড়ুয়া দুই কিশোরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। ছুটি কাটাতে বন্ধুর বাড়িতে এসে তার বাবার প্রেমে পড়ে যায় মেয়ে। ‘নিঃশব্দ’ ছবির সেই অসম প্রেমে মাতাল জিয়া খান প্রথম ছবিতেই বলিউডের নজর কাড়েন তাঁর অভিনয় দিয়ে। তার পর খুব অল্প সময়েই বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন তিনি। বলিউডে কাজের সূত্রেই জিয়ার আলাপ অভিনেতা সূর্য পঞ্চোলির সঙ্গে। প্রথম দিনের আলাপ প্রেমে বদলে যায় সময়ের নিয়মে। পরবর্তীকালে ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কেও ছিলেন এই জুটি। নব্বইয়ের দশকের হ্যান্ডসম হিরো আদিত্য পঞ্চোলি ও ডাকসাইটে অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সূর্য ও জিয়ার সম্পর্কের কথা জানত গোটা বলিউড।
হঠাত্ই ছন্দপতন। ২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুতে নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় জিয়াকে। সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পঁচিশ বছরের জিয়া। তখন তাঁর মা-বোন কেউই ছিলেন না বাড়িতে। মৃত্যুর তিন দিন পর জিয়ার হাতে লেখা একটি ছ’পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া যায় তাঁর ঘরে। সেখানে স্পষ্টই লেখা ছিল আত্মহননের ইচ্ছা, এবং কিছু দিন আগে করানো গর্ভপাতের কথাও। ১০ জুন পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় সূর্য পঞ্চোলিকে। কিন্তু এক মাসের কম সময়েই বম্বে কোর্ট তাঁকে জামিনে ছেড়ে দেয় এবং জিয়া খানের মৃত্যু রহস্য তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। গত ১৩ মে সূর্য পাঞ্চোলির বাড়ি তল্লাশি করে বেশ কিছু চিঠি, পেন ড্রাইভ ও মেমরি কার্ড পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এই সব তথ্য সিবিআইয়ের দিল্লি হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও জিয়ার মা রাবিয়া এখনও মনে করেন তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছিল। জিয়া মৃত্যু রহস্যের সত্য উদ্ঘাটনের আশায় জিয়ার পরিবারের পাশে রয়েছে সমগ্র বলিউড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy