Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ইচ্ছে হলেই টাইটানিক-যাত্রা

লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিও বা কেট উইনস্লেট হওয়ার দরকার নেই। ডেক-এর একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে দুটো হাত দু-পাশে ছড়িয়ে দিতে পারলেই যে কেউ জ্যাক কিংবা রোজ। মনে মনে শুধু একটু বাজিয়ে নিতে হবে সিলিন ডিয়নের ‘মাই হার্ট উইল গো অন’।

‘টাইটানিক’ ছবির একটি দৃশ্য।

‘টাইটানিক’ ছবির একটি দৃশ্য।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিও বা কেট উইনস্লেট হওয়ার দরকার নেই। ডেক-এর একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে দুটো হাত দু-পাশে ছড়িয়ে দিতে পারলেই যে কেউ জ্যাক কিংবা রোজ। মনে মনে শুধু একটু বাজিয়ে নিতে হবে সিলিন ডিয়নের ‘মাই হার্ট উইল গো অন’। ১৯১২ সালে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাওয়া ব্রিটিশ জাহাজ আরএমএস টাইটানিকের স্মৃতিকে পর্দা থেকে একেবারে বাস্তবের মাটিতে, থুড়ি জলে নামিয়ে আনছে চিনের একটি সংস্থা। কিংবদন্তীর এই জাহাজের একটি পূর্ণাঙ্গ রেপ্লিকা তৈরি করছে সেচুয়ানের কোম্পানি সেভেন স্টার এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ। শুধু জাহাজ নয়, এই রেপ্লিকায় থাকবে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার মুহূর্তের অভিজ্ঞতা অর্জনের উপায়ও। সিমুলেশন টেকনোলজির দাক্ষিণ্যে এই জাহাজের যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন সেই ভয়াবহ ক্ষণটিতে। ১৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত এই নয়া-টাইটানিকের নকশা তৈরি হয়েছে ডুবে যাওয়া জাহাজেরই যমজ ‘আরএমএস অলিম্পিক’-এর ধাঁচে। চিনের সংস্থাটিকে প্রযুক্তিগত সাহায্য দিয়েছে আমেরিকার একটি কোম্পানি। চিনের ‘কী’ নদীর একটি ডকে এক থিম পার্কের অঙ্গ হিসেবে আস্তানা গাড়বে নয়া টাইটানিক। টাকা ফেললেই এতে সওয়ার হওয়া যাবে। সাধারণ ট্রিপের জন্য লাগতে পারে মাথাপিছু ৪৮৪ মার্কিন ডলার। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৭-এ এই রেপ্লিকা টাইটানিকের উদ্বোধন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE