Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

তারকাদের গোপন ছবি ফাঁসে বিতর্ক

শতাধিক তারকার নগ্ন ও ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের জেরে তোলপাড় হলিউড। সেই তালিকায় রয়েছেন সেলেনা গোমেজ, কেট আপটন, কার্স্টেন ডান্সট থেকে শুরু করে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের মতো তারকারা। অনেকের ধারণা, কেউ তাঁদের অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে ছবিগুলি পেয়েছে। বাকিদের দাবি, ছবিগুলি ভুয়ো। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি সব ছবিই সরিয়ে নেন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মালিক।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৫
Share: Save:

শতাধিক তারকার নগ্ন ও ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের জেরে তোলপাড় হলিউড। সেই তালিকায় রয়েছেন সেলেনা গোমেজ, কেট আপটন, কার্স্টেন ডান্সট থেকে শুরু করে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের মতো তারকারা। অনেকের ধারণা, কেউ তাঁদের অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে ছবিগুলি পেয়েছে। বাকিদের দাবি, ছবিগুলি ভুয়ো। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি সব ছবিই সরিয়ে নেন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মালিক। তবে এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ‘অ্যাপল’-এর ‘আই ক্লাউড’-এর সুরক্ষা নিয়ে।

কেন? যে সব ছবি ওই সাইটে প্রকাশিত হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত আই ক্লাউড অ্যাকাউন্টে সংগ্রহ করে রেখেছিলেন তারকাদের কেউ কেউ। অনেকে আবার তা মুছেও দিয়েছিলেন। তা হলে তার পরেও কী ভাবে ছবিগুলি সাইটে গেল? এখান থেকেই তারকাদের কারও কারও ধারণা, তাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। অ্যাপল অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ধরা পড়েনি হ্যাকারও।

তবে এই ছবি-বিতর্কের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে আই ক্লাউডের নিরাপত্তা নিয়ে। ২০১১ সালের অক্টোবরে এটি চালু করেছিল অ্যাপল। আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক ব্যবহারকারীরা এই পরিষেবা পান। এটি চালু করলেই ব্যবহারকারীর সমস্ত ছবি, গান, ভিডিও যাবতীয় তথ্য জমা হতে থাকে। পরে প্রয়োজনে নিজের ই-মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেগুলি দেখতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এখন প্রশ্ন, জোরদার নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী ভাবে কেউ সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ছবি হাতিয়ে নিল? উত্তর জানা নেই। তবে যা-ই হয়ে থাক না কেন, কারও ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি, কারও বা হয়তো পেশাদার ফোটোশু্যটের ছবি এ ভাবে প্রকাশ করা যে বেআইনি সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জেনিফার লরেন্সের মুখপাত্র বলেছেন, “এটা গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যদি ফের কেউ লরেন্সের ছবি এ ভাবে চুরি করে প্রকাশ করে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে, ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন থ্রি’-র অভিনেত্রী মেরি এলিজাবেথ উইনস্টেড বিষয়টি নিয়ে বিধ্বস্ত। তাঁর বিতর্কিত ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল ওই সাইটে। টুইটারে তাঁর কটাক্ষ, “যাঁরা ছবিগুলি দেখছেন, তাঁদের জানাই ওটি দীর্ঘদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঘরের ভিতর তুলেছিলাম। এটা জেনে আপনারা নিশ্চয়ই আরও বেশি মজা পেলেন।”

অনেক তারকার দাবি, ছবিগুলি ভুয়ো। প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেগুলি ‘নষ্ট’ করা হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সাইটটির কর্ণধার পেরেজ হিলটন টুইটারে বলেন, “তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে খেয়ালই করিনি, কী হচ্ছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।...ছবিগুলি সরিয়ে নিয়েছি।”

এ রকম কেলেঙ্কারি অবশ্য হলিউডে নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন ও মিলা কুনিসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাঁদের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় ১০ বছর জেল হয়েছিল অভিযুক্তের। এ বার অবশ্য ভুক্তভোগী শতাধিক তারকা। তার জের কী হয়, তা সময়ই বলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE