পেশা অভিনয়। নেশা রাজনীতি। বাস্তবের সেই প্যাশনকে ছোটপর্দায় ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ দেবদূত ঘোষ। জ়ি বাংলায় নতুন ধারাবাহিক আসছে, খবর জানিয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। সেই ধারাবাহিকে রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
ধারাবাহিকের গল্প এক রাজনীতিবিদ আর মধ্যবিত্ত এক পরিবারের। রাজনীতিবিদের সহকারী তাঁর মেয়ের প্রেমিক। এই সম্পর্ক কি টিকবে?
হুবহু এক না হলেও এই স্বাদেরই একটি ধারাবাহিক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বছর দুয়েক আগে এনেছিলেন। নাম ‘বালিঝড়’। এ ছাড়া ছোটপর্দায় খুব বেশি রাজনৈতিক পটভূমিকায় তৈরি ধারাবাহিক দেখা যায় না। সে কথা স্বীকার করে দেবদূত মনে পড়িয়ে দিয়েছেন, বহু বছর আগে বিশুদ্ধ রাজনীতির উপরে একটি ধারাবাহিক হয়েছিল। এ ছাড়া, এই ঘরানার কাজ খুব একটা চোখে পড়ে না।
তবে বাস্তব আর কল্পনা মিলে যেতে খুশি অভিনেতা। তাঁর কথায়, “যদিও এখানেও রাজনীতি আমার নেশা। পেশায় ব্যবসায়ী। তবে স্বচ্ছ রাজনীতিতে যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের প্রতিনিধি আমি। এই চরিত্রটি অভিনয় করতে পারব জেনে খুব ভাল লেগেছে।” ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে চান্দ্রেয়ী ঘোষ।
ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় নায়কের বাবার পর এ বার নায়িকার বাবা। প্রসঙ্গ তুলতেই দেবদূতের বক্তব্য, “আগের ধারাবাহিকে প্রথম দুটো বছর আমি আর রূপাঞ্জনা মিত্র অভিনয় করেছি। দিব্যজ্যোতি দত্ত-স্বস্তিকা ঘোষ অনেক পরে এসেছে। এখানে অভিনয়ের আরও বেশি সুযোগ।”
আরও পড়ুন:
একাধিক বার বিধানসভা এবং লোকসভার প্রার্থী হয়েছিলেন এই বাম নেতা। রাজনীতি যদি পেশা হত তা হলেও কি অভিনয়ে আসতেন?
দেবদূতের উত্তর, “রাজনীতি পেশা হওয়া উচিত নয়। কোনও আশা না রেখে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত। কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট বেতন পান। কিন্তু বাকি লক্ষ লক্ষ কর্মীকে বেতন দেবেন কে? তাঁদের কত বেতন হওয়া উচিত, সেটাই বা কে ঠিক করে দেবে?” যদিও এই প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীরা রাজনীতিকে ‘পেশা’ বানাতে আগ্রহী, এ কথাও জানিয়েছেন তিনি।