নাটকের মহলায় দেবশঙ্কর ও শ্রীজাতা
একটি বিপজ্জনক চরিত্রে এ বার দেবশঙ্কর হালদার!
অধ্যাপক তীর্থঙ্কর রায় (দেবশঙ্কর)। তাঁর স্ত্রী রুমনা (শ্রীজাতা ভট্টাচার্য), সাংসদ। কাহিনির শুরু খবরের কাগজে তীর্থঙ্করের লেখা একটি নিবন্ধ ঘিরে। রাষ্ট্রের চোখে যা আপত্তিকর। যে কারণে তাঁকে ‘দেশদ্রোহিতা’র হুমকি শুনে দেশছাড়া হতে হচ্ছে।
কাহিনির এপার যদি এমন হয়, ওপারে দাঁড়িয়ে ইথিয়োপিয়া। যেখানে ভারতীয় যুবতী টিনা চাকরি করে। সোমালিয়ার এক গণধর্ষিতার শিশুকন্যা অ্যাম্পিকে শরনার্থী শিবির থেকে এনে নিজের বাড়িতে রাখে।
দুই পারের দুই কাহিনি যখন মিলে যায়, তখনই নাটকের ক্লাইম্যাক্স। তারই মাঝে আচম্বিতে বারবার উঠতে থাকে রাষ্ট্র নিয়ে বিতর্কিত সব প্রশ্ন। রাষ্ট্র স্বাতন্ত্র্য স্বীকার করে না। রাষ্ট্র চায় নাগরিকের কথা, ভাবনা ওঠাপড়ার চলন থাকুক রাষ্ট্রেরই নির্দেশিত পথে। তখনই প্রশ্ন ওঠে দেশ বলে আদৌ কি কিছু হয়? কিংবা দেশপ্রেম? যুদ্ধ আসলে কী? পরদেশই বা কী? চিহ্নিত হয় ক্ষমতাকামীর চাতুর্য, লোভ, ক্রোধ, দমনের তরিকা। যা দেশকালের সীমানা মানে না। মঞ্চের (হীরণ মিত্র) পিছন দিকে ঝোলানো একটি কাপড় আকারে অনেকটা ভূখণ্ডের মতো। যার গায়ে ডোরা কাটা সাদা-কালো দাগ। পথ পারাপারের জেব্রা ক্রসিং যেমন হয়! আসবাবের গায়েও ডোরাকাটা। চড়া আতঙ্কের আবহ (শুভদীপ গুহ) কাহিনির রেশটা ধরিয়ে দেয় পলকে। তাকে সঙ্গী করে কবিতাও আসে। শঙ্খ ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী থেকে রবার্ট ব্রাউনিং। আসে রবার্ট বেন্টনের ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’-এর কোর্ট সিন। ধারালো কাঁটা হয়ে এক একটি ফুটতে থাকে বুকের গভীরে। টানটান কাহিনিতে ঠাসা ‘হযবরল’ নাট্যদলের ‘বিপজ্জনক’ নামের নাটকটি লেখা চন্দন সেনের। িনর্দেশনা তাঁরই। প্রথম শো ১১ এপ্রিল, মধুসূদন মঞ্চ, সন্ধে সাড়ে ছ’টায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy