রণবীর সিংহের ‘ধুরন্ধর’ ছবির নিন্দা করছেন প্রথম থেকেই। এ বার দীপিকা পাড়ুকোনকে তোপ দাগলেন নেটপ্রভাবী ধ্রুব রাঠী। অভিনেত্রী নাকি গায়ের রং হালকা করেছেন। এই প্রসঙ্গে দীপিকাকে কটাক্ষ করতেই পাল্টা দিলেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরা।
ধ্রুব রাঠীর এই নতুন ভিডিয়োর শিরোনাম ‘বলিউডের নকল সুন্দরীগণ’। সেখানে দীপিকা পাড়ুকোন, কাজল, শিল্পা শেট্টী, বিপাশা বসু, প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। ধ্রুবের দাবি, এঁরা প্রত্যেকে গায়ের রং হালকা করেছেন চিকিৎসার মাধ্যমে। ভিডিয়োয় নেটপ্রভাবী বলেছেন, “অভিনেত্রীদের নামের লম্বা তালিকা রয়েছে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে এঁদের প্রত্যেকের গায়ের রং একটু চাপাই দেখতে লাগত। কিন্তু এখন অনেক হালকা হয়ে গিয়েছে। এঁদের প্রশ্ন করলেই এঁরা বলেন, আগে এঁরা রোদে ঘুরতেন। এখন আর রোদে ঘুরে বেড়ান না। তাই ধীরে ধীরে রং হালকা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কয়েক জন অভিনেত্রী ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনও করেছেন।”
দীপিকা-সহ উল্লিখিত অভিনেত্রীদের তোপ দেগে ধ্রুব বলেন, “ফর্সা হওয়ার রহস্য কোনও ক্রিম নয়। অথবা রোদে ঘোরাঘুরি বন্ধ করাও নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে গায়ের রং হালকা করার ইনজেকশন।” এই ভিডিয়োর পরেই ধ্রুবের দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ।
আরও পড়ুন:
দীপিকার এক অনুরাগী লিখেছেন, “স্থির ছবি বা চলচ্চিত্র, সব ক্ষেত্রেই এডিটিং হয়। সেখানে হয়তো রং হালকা করা হয়। দীপিকা নিজে কোনও রকমের চিকিৎসা করাননি।” আর একজন লিখেছেন, “দীপিকার গায়ের রং চাপা কোনওদিনই ছিল না। মাঝামাঝি বলা যেতে পারে। আগে ব্রোনজ়ার বেশি ব্যবহার করা হত, ঠিক ‘ধুম ২’তে যেমন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়েছিল ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের জন্য। এই প্রসাধনীতে গায়ের রং চাপা দেখায়।”
আর এক অনুরাগী লিখেছেন, “দীপিকা এখনও মোটেই ফর্সা নন। গমরঙা গায়ের রং বরাবর। ক্যামেরার জন্য হয়তো হালকা লাগে। গড় ভারতীয়ের এমনই গায়ের রং হয়। তাই এই গায়ের রং যাঁদের, তাঁদের নকল সুন্দরী বলছেন কী ভাবে ধ্রুব রাঠী? উনি কি গায়ের রং দেখে সৌন্দর্য বিচার করেন?” এই সব উত্তরের অবশ্য পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেননি নেটপ্রভাবী।