আত্মহননই কি বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর কারণ?
আত্মহননই কি বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর কারণ? আপাতত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে মৃতার সুইসাইড নোট। কী লেখা আছে সেখানে? মডেলের একাধিক বন্ধুর কথায়, মৃত্যুর জন্য নিজের পেশাকেই দায়ী করেছেন তিনি। ঠিক মতো কাজ পাচ্ছিলেন না। সম্ভবত তার থেকেই ক্রমশ দুশ্চিন্তা, অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। এবং তাতেই শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন উঠতি মডেল বিদিশা।
এই সুইসাইড নোট থেকেও নাকি ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। কেউ বলছেন কেরিয়ারের চিন্তাই গিলে খেল বিদিশাকে। কেউ বা বলছেন ক্যানসার! কোনটা ঠিক? এক বন্ধুর কথায়, কোনওটিই ঠিক নয়। বিদিশা লো-প্রেশারের রোগী ছিলেন। কাজের চাপে, শরীর ছিপছিপে রাখার তাগিদে অনেক সময়েই পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া করে উঠতে পারতেন না। ফলে, প্রায়ই নাকি মাথা ঘুরত তাঁর। এ ছাড়া, ঋতুস্রাবের সময়েও প্রতি মাসে প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না। বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এর জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সন্দেহ ছিল, বিদিশার সিস্ট রয়েছে। তাই প্রতি মাসে ঋতুকালীন পরিস্থিতিতে এত কষ্ট পান তিনি। বন্ধুর আরও দাবি, ‘‘ক্যানসার হলে বিদিশা কষ্ট করে কেন মরতে যাবে? চিকিৎসা না করালে এমনিই তো জীবন ফুরিয়ে যেত!’’ তা ছাড়া, চট করে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর মেয়েই নয় বিদিশা, বলছেন তিনি।
বিদিশার হাতে কাজ ছিল না, এমন কথাও মানতে নারাজ তাঁর বন্ধুরা। এক বন্ধু জানান, ব্যস্ততার কারণে মাসের বেশির ভাগ সময়ে শহরেই থাকতেন না ওই তরুণী। ফ্যাশন শ্যুট না থাকলে জামশেদপুরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের শো করতেন নিয়মিত। ক্রমশ উন্নতি করছিলেন পেশাজীবনে। হাতে প্রচুর অর্থ না থাকলেও সচ্ছল জীবনযাপনের রসদ ছিল তাঁর হাতে। ফলে, কাজ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁদের বন্ধু, এ কথা মানতে চাইছেন না কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy