পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান।
ফাদার অব দ্য অ্যাটমিক বম্ব বলা হয় জে রবার্ট ওপেনহাইমারকে। এ বার তাঁকে নিয়েই পরবর্তী ছবি শুরু করতে চলেছেন পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান। তবে পদার্থবিজ্ঞানীর বায়োপিক এটি নয়, কারণ নোলানের ভাবনা কখনও সরলরেখায় চলে না। পরিচালকের ‘ডানকার্ক’ও ছিল টাইম-স্পেসের খেলায় তৈরি ওয়র-ড্রামা। নতুন ছবিটিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় তৈরি। ওপেনহাইমারের সৃষ্টি বদলে দিয়েছিল সেই যুদ্ধের ফলাফল। বদলে দিয়েছিল ভবিষ্যতের সমরসজ্জার রূপরেখা। ম্যানহাটন প্রজেক্টের পুরোধা ছিলেন তিনি। পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল জাপানের দুই শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকি, জয় হয়েছিল মিত্রপক্ষের। জয় হলেও নিন্দিত হয়েছিল পরমাণু বোমার ব্যবহার। কিন্তু ওপেনহাইমার সেই ধ্বংসলীলাকে শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপের সঙ্গে তুলনা করে ভগবদ্গীতার শ্লোক আওড়ে ছিলেন। সংস্কৃতে রীতিমতো দখল ছিল বিজ্ঞানীর। ছবির শিল্পীদের নাম ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে নোলানের পছন্দের অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি থাকতে পারেন ছবিতে। ‘ইনসেপশন’, ‘ডানকার্ক’-এ ছিলেন তিনি।
নোলানের নতুন ছবির খবর প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে কোন স্টুডিয়োর সঙ্গে তিনি গাঁটছড়া বাঁধবেন, তা নিয়ে চর্চা। গত কুড়ি বছর ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে ছবি করে আসছেন তিনি। কিন্তু ‘টেনেট’-এর রিলিজ় নিয়ে স্টুডিয়ো এবং পরিচালকের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। অতিমারির মধ্যে নোলান জোর করেই ছবি রিলিজ় করান, তাতে ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়েছিল। অন্য দিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‘হাইব্রিড’ রিলিজ় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন নোলান। অন্যান্য স্টুডিয়োর সঙ্গে আপাতত আলোচনা চালাচ্ছেন পরিচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy