মানুষের ভিড়েই উঠে আসে গল্পরা
কখনও খুদে দুই পড়ুয়াই নায়ক-নায়িকা। আবার কখনও নজরে দুই অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবন। তাদের নিয়েই ছুটে চলে কাহিনি-স্রোত, কখনও থমকে দাঁড়ায়, আবার বয়ে চলে। সেই দেখতে বিভোর বাংলার দর্শক। চোখ মোছেন, হাসেন ছবি দেখতে দেখতে। আর বলেন, নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবিতে গল্প আছে। আরও কত কী-ই যে মিশে আছে পরতে পরতে, যার সবটুকু মিলেই ‘লার্জার দ্যান লাইফ’-এর স্বাদ প্রেক্ষাগৃহে।
কোথা থেকে আসে জীবনরসে ভরপুর এমন গল্পেরা? চিত্রনাট্যের সবটাই কি কাল্পনিক? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা 'অ-জানাকথা'য় এসে সত্যি-গল্পের আসর জমালেন পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়। একসঙ্গে কাজ করতে করতে যাঁরা এখন ভাবেনও একসূত্রে। একযোগে বললেন, গল্পটাই তো ছবির ভিত্তি। ধার ঘেঁষে আলাদা হাঁটলে গল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। তাঁদের কথায়, ‘‘গল্প লুকিয়ে থাকে সাধারণের ভিড়েই!’’
‘‘কোনও গল্প পড়ে বা ছবি দেখে নয়, প্রতিদিনের খবর থেকেই গল্পের নির্যাস তুলে নেওয়া যায়!’’— দাবি নন্দিতার। মজার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন শিবুও। বললেন, ‘‘যেই নিজের মতো থাকতে চাই, নন্দিতাদি সব সময়ে বলেন সাদামাঠা থাকতে। মাটির সঙ্গে যাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়। তবেই যে গল্পরা ধরা দেবে!’’ নন্দিতা নিজেও যেমন আজও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাস্তবের ঘ্রাণ নেন। শিবপ্রসাদ জানান, খ্যাতনামী পরিচালক হয়েও কোনও রকম বাড়তি সুবিধা নিতে চান না নন্দিতা।
পরিচালক জুটি তাই স্পষ্ট বলছেন, তাঁদের ছবির সমস্ত গল্পের জোগান দিয়েছেন সাধারণ মানুষই। একাধিক জীবনের বাস্তবতা মিলেমিশে রূপ পেয়েছে ‘হামি’ কিংবা ‘প্রাক্তন’-এর মতো ছবিতে। তার জন্য পথে নামতে হয়েছে, সব মানুষের গল্পগুলো বুঝতে হয়েছে বলে জানান নন্দিতা-শিবপ্রসাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy