Advertisement
২৫ মার্চ ২০২৩

‘আমার অভিধানে কঠিন শব্দটির জায়গা নেই’

বলিউডের নতুন ভিলেন সাজ্জাদ দেলাফ্রুজের মুখোমুখি আনন্দ প্লাসবলিউডের নতুন ভিলেন সাজ্জাদ দেলাফ্রুজের মুখোমুখি আনন্দ প্লাস

সাজ্জাদ

সাজ্জাদ

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:২৭
Share: Save:

সলমন খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর ভিলেন আবু উসমানকে দর্শক সহজে ভুলবেন না। কিন্তু সুদর্শন সাজ্জাদ দেলাফ্রুজই কি ওই চরিত্রটি করেছেন? সাজ্জাদের অফস্ক্রিন ছবি দেখার পর অন্য কিছু বলার আগে তাঁর কাছে এই প্রশ্ন রাখছেন অসংখ্য ভক্ত। প্রায় ছ’-সাত বছরের টানা পরিশ্রমের পর ‘বেবি’ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন ইরানের সাজ্জাদ। ফোনে অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘প্রশংসা-খ্যাতি পাওয়ার পর জীবন আরও সুন্দর হয়েছে। আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এত অ্যাক্টিভ ছিলাম না। তবে এখন কী করছি, কোথায় যাচ্ছি... সব নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব কৌতূহল। আমার ভক্তদের জন্যই সক্রিয় হয়েছি। তবে আমি ভীষণই প্রাইভেট পার্সন।’’

Advertisement

আবু উসমানের চরিত্রটির জন্য যশ রাজ থেকে ই-মেল পাঠানো হয় সাজ্জাদকে। তার পর অডিশন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার ফোন পাওয়ার পর সাজ্জাদ বুঝে যান, এই চরিত্রটি তাঁকে করতেই হবে। ‘‘আড়াই মাস অন্য কোনও অডিশন দিইনি। চরিত্রটির লুকে খাপ খাওয়ানোর জন্য চুল-দাড়ি বাড়িয়েছি।’’ অভিনয়ের বিষয়ে সলমনের সঙ্গে খুব একটা কথা হয়নি তাঁর। ‘‘সলমন সেটের মেজাজটা হালকা করে দিতেন। অনেক টেনশনের মধ্যেও ওঁর জোকস কাজটা সহজ করে দিত,’’ বললেন সাজ্জাদ।

কেরিয়ারের শুরুতেই এত স্ট্রং নেগেটিভ চরিত্র করায় একটুও চিন্তিত নন তিনি। কারণ, সাজ্জাদের মতে, ‘‘চরিত্র বাস্তবে ইমেজ তৈরি করে না।’’ তাঁর অভিধানে ‘কঠিন’ শব্দটি নেই। প্যাশনকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই স্বচ্ছন্দ তিনি। বলছেন, ‘‘আমি শিশুদের খুব পছন্দ করি। ওদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতে দিব্যি লাগে। তাই ‘টাইগার...’-এ এক কিশোরের গায়ে টাইম-বোমা বেঁধে দেওয়ার দৃশ্যটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। ক্যাটরিনা ও মিস্টার সলমনের উপর অত্যাচার করার দৃশ্যটির জন্যও আমি খুব খেটেছি।’’

সাজ্জাদ খাদ্যরসিক। তবে খাওয়ার সঙ্গে পেশার তাল বজায় রাখার জন্য নিয়মিত শারীরচর্চা করেন। ভাল রান্নাও করতে পারেন। রুমির কবিতা পড়তে ভালবাসেন। তবে তাঁর সরস মন্তব্য অনেকেই নাকি বুঝে উঠতে পারে না।

Advertisement

ছোটবেলা থেকেই হিন্দি ছবির ভক্ত সাজ্জাদ তাঁর স্কুলে ছিলেন ভারতীয় ছবির ভিডিয়ো ক্যাসেট বিলির ‘সোর্স’। কাজ করার স্বপ্ন দেখেন অমিতাভ বচ্চন ও পঙ্কজ কপূরের সঙ্গে। মুম্বইয়ে কর্মসূত্রে থাকলেও তাঁর মন পড়ে থাকে বাড়ির ছোটদের জন্য।

সাফল্য এখনও তাঁর মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি। ‘‘যা কষ্ট করেছি, তা দরকার ছিল এখানে পৌঁছনোর জন্য। অনেক কিছুই আমি জানি না। আর এই ক’বছরের জার্নি আমাকে বক্তার চেয়েও ভাল শ্রোতা বানিয়েছে,’’ বলছেন বহুভাষী অভিনেতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.