Advertisement
E-Paper

সম্পর্কে অস্বস্তি থাকলে কাজ করতে অসুবিধা হয়, যদিও নুসরতের সঙ্গে ছবি করার কথা কেউ বলেনি: অঙ্কুশ

কোন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন আর কোনটার দেবেন না, এই বাছবিচার অঙ্কুশ করেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে ১৫ বছর কাটানোর পর কোন মুহূর্ত ঘোরাল নায়কের জীবনের মোড়?

উৎসা হাজরা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০০

ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: টলিউডে এখন মু্ম্বইয়ের ধারা। সাক্ষাৎকারের আগেই জনসংযোগমাধ্যম বলে দেয় কোন কোন প্রশ্ন করা যাবে না আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে। তারকারা কি ইদানীং খুব সাবধানি হয়ে যাচ্ছেন উত্তর দিতে?

অঙ্কুশ: কে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে? না, আমায় সব প্রশ্ন করতে পারেন। ১৫ বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। পোড়খাওয়া। এই সব নিয়ম নবাগতদের জন্য। আমায় যা প্রশ্ন করবেন সব উত্তর দেব।

প্রশ্ন: তা হলে বলুন, এই সমাজমাধ্যমের পাতায় দেব আপনাকে শুভেচ্ছা জানাল। আবার অন্য দিকে নাকি ভিতরে ভিতরে মারকাটারি প্রতিযোগিতা! আসলে আপনাদের সম্পর্কগুলো কেমন?

অঙ্কুশ: প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের সময় (শো টাইম) নিয়ে যা হচ্ছে সেটা হওয়াও স্বাভাবিক নয় কি! সবাই তো ভাল সময়টাই চাইবে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না, সেটা হওয়াও স্বাভাবিক। সব কিছুর মাঝে বাংলা ছবির জয়জয়কার হোক, এটাই চাই। সুতরাং এই প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের কোনও জায়গা নেই। ওটা সম্পূর্ণ আলাদা।

প্রশ্ন:‘রক্তবীজ ২’ ছাড়া আপনি পুজোর ছবি দেখতে যাবেন?

অঙ্কুশ: সব ছবির স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এই চারটে ছবির মধ্যে এমন কোনও ছবি নেই যেটা আমি দেখতে চাই না। কিছু ছবিতে প্রিয় অভিনেতারা আছে। কিছু ছবিতে আছে প্রিয় পরিচালকেরা। কিন্তু আমার ছবির জন্যও প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনে যেতে হবে। তাই চেষ্টা করব সবটা একসঙ্গে সামাল দেওয়ার।

ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: কখনও মনে কি হয় নায়কেরা প্রযোজক হয়েই বেশি সমস্যা হয়েছে? নায়ক তাঁর সৃজনশীলতায় মন দেবে আর প্রযোজক ব্যবসায় মন দেবে। দুটো মিশে গিয়ে কি বিষয়টা আরও জটিল হয়ে গিয়েছে?

অঙ্কুশ: কিছু লোকের ক্ষেত্রে হয়তো এই ভাগ থাকাটা প্রযোজ্য। আবার কিছু লোকের ক্ষেত্রে নয়। যেমন, অনেক নায়কের নামে বিক্রি হয় ‘স্যাটেলাইট রাইট’। এ বার যাঁদের বাজারদর অনেক, তাঁরা তো চাইবেনই সবটা নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখতে। নিজের মতো করে ছবি তৈরি করতে। কারণ, তিনি জানেন তাঁর ছবি মানে ‘স্যাটেলাইট রাইট’ মোটা মূল্যে বিক্রি হবে। বাকিদের কথা বলতে পারব না, আমি কিন্তু নিজের বাজার দর দেখেই প্রযোজনা সংস্থা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাধীন ভাবে কাজ করব বলে। তাতেও ধাক্কা খেয়েছি।

প্রশ্ন: যেমন...

অঙ্কুশ: আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। হয়তো আমারও ভুল হয়েছে। অনেক সময় আমার ভাবনার সঙ্গে বাকিদের ভাবনা মিলবে, তা তো হতে পারে না। আমি হয়তো একরকম ভাবে ভাবছি। এ দিকে প্রযোজক চান যেমন তেমন ভাবে মুক্তি দিতে। তেমন প্রযোজকের পাল্লাতেও পড়েছি। তাই পর পর আমার বেশ কিছু ছবি মানুষের কাছে ঠিক ভাবে পৌঁছোয়নি। তাই হয়তো অনেকটা খারাপ সময় গিয়েছে। ‘মির্জা’ করার পর বুঝতে পেরেছিলাম, পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই।

ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: তার মানে ১৫ বছরের অভিনয়জীবনে ‘মুনির আলম’ মোড়ঘোরানো অধ্যায়?

অঙ্কুশ: হ্যাঁ, তা বলা যায়। এই ধরনের চরিত্রই করতে চেয়েছিলাম। খলনায়ক হিসাবে যদি আমায় দাগিয়ে দেওয়া হয় তাতে অসুবিধা নেই। এই খিদেটা ছিল। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তরফ থেকে সুযোগটা এসেছে, এটাই প্রাপ্তি।

প্রশ্ন: এক সময় তো ঢিলছোড়া দূরত্বে আপনার আর আবীর চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ছিল। এই ছবির মাধ্যমে আপনাদের বন্ধুত্ব কি আরও বাড়ল?

অঙ্কুশ: আগে এক ছাদ থেকে আর এক ছাদে আমরা গল্পও করেছি। কিন্তু আগে ‘কানামাছি’ এখন ‘রক্তবীজ ২’, দুটো ছবিতেই পরস্পরের বিপক্ষে। এ বার আবীরদার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বের গল্পে অভিনয় করতে চাই।

প্রশ্ন: এই ছবিতে তো আপনার অনেক বন্ধুই আছে। মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান। যদিও শোনা যায় আপনার আর নুসরতের সম্পর্ক নাকি ভাল নয়! সম্পর্কে অস্বস্তি থাকলে সহজ ভাবে কি কাজ করা সম্ভব?

অঙ্কুশ: আমরা সবাই মানুষ। অনুভূতি আছে। তাই কারও সঙ্গে যদিও একটুও অস্বস্তিকর সম্পর্ক থাকে ক্যামেরার বাইরে, তা হলে একটু মুশকিল হয়। সত্যি বলতে, আমাকে এখনও এমন কোনও পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি যেখানে আমার আর নুসরতের ছবি হওয়ার কথা হয়েছে, আমি না করে দিয়েছি। অনেকে সে সব ভেবে হয়তো বলেননি। সারা জীবন কি সব বন্ধুত্ব থাকে? কারও সঙ্গে থাকে। কারও সঙ্গে থাকে না। নুসরতের সঙ্গে চার-পাঁচটা ছবি করেছি। এখন সেই বন্ধুত্বের বাঁধন নেই। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে মিমি, শুভশ্রীদের সঙ্গে আমার একটা দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।

ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: প্রচারের মাঝে দিল্লিতে যেতে হয়েছিল, একটু কি বিস্তারিত বলা যায়?

অঙ্কুশ: ইডির তরফে আমায় চিঠি পাঠানো হয়েছিল বেটিং অ্যাপের বিষয় নিয়ে। কিছু সাধারণ নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যস, এটুকুই।

প্রশ্ন: খলনায়ক অঙ্কুশকে দেখে প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার কী প্রতিক্রিয়া?

অঙ্কুশ: ঐন্দ্রিলা বলেছে খলনায়কের চরিত্র পেয়ে যে দু’বার ভাবোনি এটা ভাল লাগছে। ওর বক্তব্য, আমি কোথায় খেলব ওর নাকি জানা। খুব খুশি হয়েছে আমায় মুনির আলমের লুকে দেখে।

Ankush Hazra Celebrity Interview Raktabeej 2
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy