কুনাল
প্র: ‘লুটকেস’-এর জন্য স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন আপনার প্রশংসা করেছেন...
উ: হ্যাঁ, ওঁর কাছ থেকে যখন প্রশংসাপত্র পেলাম, তখন মনে হল আমার অভিনেতা হওয়া সার্থক। ‘লুটকেস’-এ কাজ করে আমি তৃপ্ত। সিনেমা হলে ছবিটা রিলিজ় করলে বেশি ভাল হত ঠিকই, কিন্তু আমরা এখন যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না। তবে কিছু বিষয় অবশ্যই মিস করছি।
প্র: যেমন?
উ: কমেডি ছবি দেখে দর্শকেরা যখন হেসে কুটোপাটি হয়ে যান, তখন থিয়েটারে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সেই প্রতিক্রিয়া দেখার মজাই আলাদা! তবে এই উদ্বেগের পরিবেশে আমি সকলকে হাসাতে পেরেছি, এটা আমার কাছে পুরস্কার।
প্র: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, এই সময়টা পরিবারের সঙ্গ উপভোগ করেছেন...
উ: বেশ ভাল সময় কেটেছে। আমরা অনেক কিছু টেকেন ফর গ্রান্টেড নিয়ে ফেলি। সেই ভুলগুলো শোধরানোর সুযোগ পেলাম। সব কিছু আগের মতো হয়ে গেলেও যেন আমরা এই কঠিন সময়ের শিক্ষাগুলো ভুলে না যাই। এর পরেও যেন মনে রাখি।
প্র: এই পরিস্থিতিতে মেয়ে ইনায়াকে সামলাতে সমস্যা হয়নি?
উ: খুব একটা নয়। বরং সোহা আর আমাকে বাড়িতে পেয়ে খুব খুশি। সেপ্টেম্বর মাসে তিনে পা দেবে ইনায়া। আমার তো চিন্তা হচ্ছে, এর পর যখন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তখন হয়তো ওকে সামলানোটা বেশি মুশকিল হবে।
প্র: এই অতিমারির মধ্যে তো ‘অভয় টু’-এর শুটিং করেছিলেন। দ্বিধা ছিল না?
উ: বেশ ভয়ে ভয়ে কাজ করেছি। স্ক্রিপ্টে অনেক কিছু বদলাতে হল। রাস্তায় ভিড়ের মধ্যে গিয়ে শুট করার প্ল্যান বাতিল করতে হল। কাজে বেরিয়ে বুঝলাম, কখনও না কখনও আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে। তবে ভ্যাকসিন না বেরোনো পর্যন্ত এই টানাপড়েন চলতেই থাকবে।
প্র: স্ত্রী সোহার কোন গুণটা সবচেয়ে ভাল লাগে?
উ: আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে। আলাপ হওয়ার দেড় বছর পরে আমি সোহাকে প্রোপোজ় করি। সোহা নিজে যেটা ঠিক মনে করে, সেটাই করবে। আমার কথা তো শোনেই না। সোহাকে আমি ‘ডেভিল অ্যাডভোকেট’ বলে থাকি।
প্র: বিশেষ কোনও চরিত্রে অভিনয় করার খিদে আছে?
উ: যখন কোনও কাজ হাতে নিই একজন দর্শক হিসেবে চিন্তা করি, আমার কী দেখতে ভাল লাগবে। অনেক পরিকল্পনাই আছে। দেখা যাক, কী হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy