Advertisement
E-Paper

‘মিথ্যেটাকেই বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম’

বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মধুমিতা সরকার টেলিভিশন চলাকালীন তো নতুন কিছু শুরু করা যায় না। তখন মনে হয়েছিল, আমি বড় পর্দার জন্য তৈরি নই।

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০১
ছবি: স্বপ্নিল সরকার

ছবি: স্বপ্নিল সরকার

প্র: সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

উ: কোনও একটা কারণে তো সম্পর্ক ভাঙে না। পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই আমাদের। সৌরভ ভাল মানুষ। ও খুব ভাল থাকুক, সেটাই চাইব। কিন্তু আমার সঙ্গে ওর ঠিক বনিবনাটা হল না। আমাদের দু’জনের ভাবনাচিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি খুবই আলাদা। সম্পর্কেও সেই কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তবে আমরা দু’জনে কথা বলে, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা নতুন প্রাণকে পৃথিবীতে আনার আগে যে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি, সেটা ভালই।

প্র: সৌরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এর পরেও আপনারা বন্ধু থাকবেন...

উ: বন্ধু কতটা থাকব, জানি না। দেশ কি এতটাও প্রোগ্রেসিভ হয়েছে? আর যদি বন্ধু থাকি, সেটা নিয়েও তো লোকে নানা কথা বলবে। লোকের প্রশ্ন বন্ধ হবে না।

প্র: কী ভাবছেন এই মুহূর্তে?

উ: মানুষ হিসেবে আমরা যে অনেকটা আলাদা, সেটা আগেও বুঝেছিলাম। কিন্তু ভেবেছিলাম, লং রানে তা নিয়ে চলতে পারব। দু’জনে দু’জনের মতো করে চেষ্টা করেছি। কিন্তু হল না।

প্র: সৌরভের একাধিক সম্পর্ক নিয়ে বিয়ের আগে ও পরে লেখালিখি হয়েছে। আপনাদের দাম্পত্যে তা অন্তরায় হয়নি কখনও?

প্র: (বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে, কী বলবেন হয়তো গুছিয়ে উঠতে পারছিলেন না) আমার কাছের মানুষ সে সৌরভ হোক বা আমার মা-বাবা, তাঁদের সম্পর্কে যখন বাইরে থেকে অন্য রকম কিছু শুনি, আমি তাঁদের সরাসরি প্রশ্ন করি। তাঁরা যদি বলেন এটা মিথ্যে, আমি সেটাই বিশ্বাস করি।

প্র: কিন্তু পাঁচ জন যখন কিছু বলছেন, তাঁরা সকলেই মিথ্যে? না আপনি মানতে চাইতেন না?

উ: আমি যত দিন ওর সঙ্গে ছিলাম, মিথ্যেটাকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম।

প্র: আপনাদের দাম্পত্যে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও শোনা গিয়েছে।

উ: এটা পুরোটাই গুজব (মাথা নাড়িয়ে)।

প্র: এসভিএফ-এর ব্যানারে ডেবিউ করছেন। কিন্তু অনেক বছর আগে এই হাউস থেকেই বড় পর্দার প্রস্তাব পেয়েছিলেন না?

উ: টেলিভিশন চলাকালীন তো নতুন কিছু শুরু করা যায় না। তখন মনে হয়েছিল, আমি বড় পর্দার জন্য তৈরি নই। আর ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘কুসুমদোলা’ ধারাবাহিকে যে ধরনের চরিত্র পেয়েছি, সেটায় অভিনয় করার সুযোগ বেশি ছিল। এখন কনটেন্টধর্মী ছবির চল বেড়েছে। তাই ‘কুসুমদোলা’র পরেই ঠিক করলাম, বড় পর্দায় অন্য ধরনের চরিত্র ট্রাই করব।

প্র: আপনার ছবির সঙ্গে সারা আলি খান এবং কার্তিক আরিয়ানের মতো হ্যাপেনিং জুটির ছবিও (লাভ আজ কাল টু) মুক্তি পাচ্ছে। সারা-কার্তিককে ছেড়ে দর্শক মধুমিতা-অর্জুনের (চক্রবর্তী) জুটি কেন দেখবেন?

উ: আমাদের ছবিটায় একটা অতিরিক্ত ‘পরশু’ আছে (হাসি)। ‘লাভ আজ কাল পরশু’র ট্রেলার দেখে দর্শকের যে ফিডব্যাক পেয়েছি, তাতে মনে হয়েছে আমাদের দেখতে ভালই লাগবে। প্রথম ছবি তাই বেশ নার্ভাস।

প্র: কিন্তু এই ব্যানারেই তো দ্বিতীয় ছবিও (মৈনাক ভৌমিকের ‘চিনি’) পেয়ে গিয়েছেন।

উ: আরও নার্ভাস হয়ে গিয়েছি (হাসি)। আসলে আমি মানুষ হিসেবে বরাবর আন্ডার কনফিডেন্ট।

প্র: আন্ডার কনফিডেন্ট হওয়ায় কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি?

উ: আসলে এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশি দুঃখ পাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছি (হাসি)। আমার নিজের কাছ থেকেও বেশি প্রত্যাশা নেই, অন্যদের কাছ থেকে তো নেই-ই। বরং অল্পেতেই বেশি খুশি হয়ে যাই।

প্র: এসভিএফ-এর জৌলুস তো আগের চেয়ে কমেছে। এমন সময়ে এখানে কেরিয়ার শুরু করে আপনি কি খুশি?

উ: আমার বড় হয়ে ওঠা কিন্তু কনটেন্টধর্মী ছবি দেখে। আগে এসভিএফ-এর ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিরূপ মন্তব্য করা হত। সংবাদপত্রে লেখালিখি হত এটা কপি, ওটা রিমেক... কিন্তু এখন অরিজিনাল কনটেন্টের যুগ। সেই ধরনের কাজই ওরা করছে। আমার মতে, নতুন একটা পিরিয়ডে ওরা প্রবেশ করেছে। আর সেই ধরনের ছবির অংশ হতে পেরেছি বলে আমি খুশি।

Madhumita Sarkar Interview মধুমিতা সরকার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy