Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কীসের কামব্যাক? আগুনপাখি হৃদয়ে জ্বলছে

‘জুলফিকার’-য়ের নতুন গান যে আবার তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘটালো মানছেন না নচিকেতা। বিড়ি ধরিয়ে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়-কে বললেন এই বেশ ভাল আছি।আমেরিকা সফর সেরে সদ্য ফিরেছেন। কথা ছিল বাড়িতে ইন্টারভিউ হবে। কিন্তু তিনি হঠাৎ ডার্ক গ্লাস পরে বললেন, চলুন বেরিয়ে পড়ি। গাড়িতে যেতে যেতে কথা হবে। বেলগাছিয়ার বাড়ি থেকে নেতাজিনগর। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে বেড়ালেন ভাদ্রের দুপুরে। নচিকেতা চক্রবর্তী। গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ রাস্তায় নেমে কলার তুলে হাঁটা লাগালেন। কখনও ঢুকে পড়লেন কফি শপে। কখনও সিগারেটের দোকানে। তার মধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপ।

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

আমেরিকা সফর সেরে সদ্য ফিরেছেন। কথা ছিল বাড়িতে ইন্টারভিউ হবে। কিন্তু তিনি হঠাৎ ডার্ক গ্লাস পরে বললেন, চলুন বেরিয়ে পড়ি। গাড়িতে যেতে যেতে কথা হবে। বেলগাছিয়ার বাড়ি থেকে নেতাজিনগর। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে বেড়ালেন ভাদ্রের দুপুরে। নচিকেতা চক্রবর্তী। গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ রাস্তায় নেমে কলার তুলে হাঁটা লাগালেন। কখনও ঢুকে পড়লেন কফি শপে। কখনও সিগারেটের দোকানে। তার মধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপ।

আপনি তো ‘জুলফিকার’-এ ‘এক পুরনো মসজিদ’ গেয়ে ঝড় তুলে দিয়েছেন...

(বিড়ি ধরালেন) আমি তো কিছুই জানতাম না। আমেরিকায় গিয়েছিলাম শো করতে। সকলে গানটার খুব প্রশংসা করল। আচ্ছা এই সাক্ষাৎকার কি শুধুই ‘জুলফিকার’-এ গান গাইলাম বলে?

আপনি কি রেগে আছেন?

না, আমি তো মুখের ওপর সোজা কথা বলি। তাই জানতে চাইলাম। তবে সৃজিত আমার প্রিয় পরিচালক। গল্পটা বলতে জানে ও। ওর সঙ্গে যেচে বন্ধুত্ব করেছিলাম। ‘বাইশে শ্রাবণ’ দেখে খুব ভাল লেগেছিল। বাংলায় মিনিংফুল থ্রিলার তো দেখা যায় না। তাই ফোনে ওকে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। তার পরে সৃজিত আমাকে ‘হেমলক’ দেখতে বলে। ভাল লেগেছিল। এর পর তো হঠাৎই অনুপম ফোন করে ‘জুলফিকার’-এর গান গাওয়ার কথা বলে।

অনুপম বলে আপনি নাকি ওর অদৃশ্য গুরু। ওর সঙ্গে কাজ করে কী মনে হল?

(হেসে) অনুপম গানটা পাঠিয়েছিল। ইমনকল্যাণ-এর ওপর খুব সুন্দর একটা কম্পোজিশন। তবে একটা জায়গা শুনে মনে হল খালি খালি লাগছে। অনুপমকে বলায় ও বলল, ‘তুমি কিছু করো।’ তখনই ‘আলমাদৎ’ অংশটা আমি তৈরি করি। ও রকম একটা গানের এ রকম মারাত্মক পিকচারাইজেশন হবে আমি ভাবতেই পারিনি। আন্ডারওয়ার্ল্ড ক্লাসিক বলতে আমি ‘গডফাদার’কে জানি। আমি গডফাদার-এর ফ্যান। বইটা হাজার বার পড়েছি। সিনেমাটা শ’ পাঁচেক বার দেখে ফেলেছি। জুলিয়াস সিজারকে যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাজা বানানো যেতে পারে, এটা খুবই অভিনব। সৃজিতের পক্ষেই এটা ভাবা সম্ভব। ট্রেলর দেখতে দেখতে অনেককে চিনতেও পারছিলাম না আমি। ইনফ্যাক্ট সৃজিতই বলল, যাকে চিনতে পারছিলাম না সে যিশু!

আপনি তো বলেছিলেন ছবিতে প্লেব্যাক করবেন না। কারণ প্রোডিউসাররা এক রকম বলেন। পরিচালকরা চান আরেক রকম। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনুপম রায় বলে রাজি হলেন? এটাই কি আপনার কামব্যাক?

(বেশ রেগে) কামব্যাক? আপনি বোধহয় জানেন না নচিকেতা আজও মানুষের হৃদয়ে ‘আগুনপাখি’ হয়ে জ্বলছে। আজও জিজ্ঞেস করুন নতুন প্রজন্মকে — বলবে, নচিকেতা হতে চাই। আর ফিল্মে কেন গাইলাম শুনবেন? আমি মনে করি সিঙ্গার হিসেবে, আমি এক জন বাঈজি। যিনিই ডাকবেন আমি তাঁর জন্য গাইব। এর আগে ‘মহানায়িকা’ ছবিতে কাজ করেছি। গানগুলো ভাল ছিল। কিন্তু সে রকম প্রোডিউসার না থাকায় ছবিটা প্রচার পায়নি। মানুষের কাছে গানগুলো পৌঁছয়নি। আজকাল গানের গুণাগুণ আর মাপা হয় না। বুঝলেন? কোন প্যাকেজিং-এ গান আসছে, সেটাই বড় কথা। আর বাংলা গান নিয়ে কথা না বলাই ভাল।

কেন?

বাঙালি বলে কোনও জাতি কোনও কালেই ছিল না। রবীন্দ্রনাথ যদি নোবেল না পেতেন তা হলে তাঁকেও সিরিয়াল লিখতে হতো। কী ভাবে ‘শনিবারের চিঠি’তে সজনীকান্ত দাস বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রবীন্দ্রনাথকে ক্রুসিফাই করেছিলেন ভাবুন তো? আমিও বাঙালি। বাংলা গান গাই। কিছু করার নেই। সমালোচনা শুনতে শুনতেই বাঁচতে হবে।

এই যে প্যাকেজিং-এর কথা বলছিলেন। প্যাকেজিং-এর সুযোগ তো আপনার কাছেও এসেছে। বিশাল ভরদ্বাজ আপনাকে মুম্বইয়ে থেকে যেতে বলেছিলেন।

বিশাল খুব ভাল বন্ধু। তবে আমি যে ভাবে বাঁচি, মুম্বইয়ে সে ভাবে বাঁচা যায় না। শ্যাম বেনেগলও বলেছিলেন থেকে যাও। পারিনি।

প্রীতমকেও নাকি হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে ফোন করেন।

হ্যাঁ, খুব মন খারাপ হলে ফোন করে বলি, আমি আসছি। ও লাফিয়ে উঠে বলে চলে এসো, চলে এসো। কিন্তু ওই পর্যন্তই। প্রীতম, জিৎ, এরা সবাই খুব ট্যালেন্টেড। ভাল বন্ধুও।

বাংলা ফিল্মের গানকে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু একটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

(একটু ভেবে) নতুন কী করেছে বলুন তো? আমি যা করেছিলাম সেটাকেই ও এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে জিৎ মুম্বইয়ে গিয়ে খুব ভাল করছে।

সে কী! সুমন আর নচিকেতার পর বাংলা গানে নতুন কিছু হয়নি বলছেন?

না, সুমন নয়। নচিকেতার পরে আর কিছু হয়নি। বাংলা গানে নয়, বাংলা সাহিত্যে কবীর সুমনের বিশাল অবদান আছে। কবীর সুমনের বাংলা গানের অ্যালবাম বেরোনোর ছ’ মাস পর আমার গানের অ্যালবাম বেরিয়েছিল। তার পর যত অ্যালবাম হয়েছে সেগুলো শুনে কটা লোক কবীর সুমন হতে চেয়েছিল বলুন তো? তখন সবাই নচিকেতা হতে চেয়েছিল। কারণ আমি ছিলাম তখনকার বাংলা গানের ট্রেন্ড সেটার। নচিকেতাই তখন ছত্রিশটা মিউজিশিয়ান নিয়ে ‘এই বেশ ভাল আছি’ বানিয়েছিল। আমি সাউন্ডস্কেপটাই চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম। ওটা সুমন করেননি। মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টের জায়গা থেকেই বা উনি কী নতুন দেখিয়েছিলেন? না বেজেছে ঢোল। না বেজেছে থুম্বা। যারা সুমন সুমন করে চেঁচাচ্ছে তাদের যদি জিজ্ঞেস করেন সুমন না নচিকেতা? তারা বলবে নচিকেতাই হতে চাই।

এগুলো লিখব তো?

হ্যাঁ, অবশ্যই।

লোককে জ্ঞান দেবেন। অথচ নিজে মু্ম্বই যাবেন না। এ আর রহমান ফোন করলেও ফোন তুলবেন না। আপনি কী চান বলুন তো!

(আবার বিড়ি ধরালেন) সত্যি আমি ফোন ধরিনি। মুশকিলটা কোথায় জানেন। রহমান যদি এই বয়সে আমায় ‘পাতলি কোমর’ গাইতে বলেন আমি মুখের ওপর না বলতে পারব না, আবার গাইতেও পারব না, আর এই ধরনের মানুষকে লোকে ফোন করে কিছু না কিছু চায়। ও হয়তো ভাবতে পারে, আমিও কিছু পাওয়ার আশায় ওকে কল ব্যাক করছি। এরকম ভাবার সুযোগ আমি ওকে দিতে চাই না।

সে কী? গান নিয়ে নচিকেতার ছুঁৎমার্গ?

না, ছুঁৎমার্গ নয়। ক্লাস ইলেভেন, টুয়েলভ-এর সিলেবাসে আমাকে পড়ানো হয়। আমি দুম করে এমন কিছু করতে চাই না যাতে আমার ইমেজটা ব্রেক হয়। আমি আসলে সাংস্কৃতিক যোদ্ধা। গিমিকে বিশ্বাস করি না। মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আলাদা করে কিছু করে এই বয়সে মানুষকে নিজের দিকে টানতে হয় না আমায়। আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমার জন্য নিশ্চয়ই ভাল কিছু লেখা আছে।

আপনি খুব অহঙ্কারী, না? মনে হয়নি যে এই অহঙ্কার আপনার শত্রু।

দেখুন, শত্রু সবারই আছে। এর জন্য অহঙ্কারী হতে লাগে না। বরং আর পাঁচটা সাধারণ লোকের মতো আমারও দুটো সত্তা। একটা রত্নাকর। আরেকটা বাল্মীকি। সব মানুষেরই দুটো চেহারা। আমি খুব লাউড। তাই বোঝা যায়।

একুশে জুলাই-এর মঞ্চে গিটার হাতে যাকে দেখা যায়, সে কে? রত্নাকর না বাল্মীকি?

আমি রত্নাকর হয়েই থাকতে চাই। লোকে আমায় ভয় পায়। তার মানে কি আমি সকলকে কামড়ে দিই? তা নয়। মুখের ওপর সোজা কথা, সত্যি কথা বলি বলে লোকে ভয় পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি একটা আস্ত পৃথিবী দিতে চাই। ও-ও আমাকে একটা আস্ত পৃথিবী দিতে চায়। আমি যদি ওকে লিখে পাঠাই, তোমায় কিছু দেব বলে চায় যে আমার মন। ও প্রকারান্তরে এটাই বলবে।

‘এক পুরনো মসজিদে’র গানের দৃশ্যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চেয়েছিলেন, নিলেন না কেন?

আমাকে ভগবান সাধারণ মানুষকে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন। আর কী চাই আমার! ২০০৬-এ সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে ওর সঙ্গে আছি।

ইন্দ্রনীল সেন কিন্তু পরে এসে অনেকটা জায়গা নিয়ে নিলেন।

এমপি হওয়া আমার কাজ নয়। আমি গান দিয়ে পেনিট্রেট করতে পারি। মানুষকে বোঝাতে পারি। কিন্তু ঠান্ডা ঘরে বসে আমলাদের সঙ্গে প্ল্যানিং করতে পারব না। ওটা আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। আর আমি লোভী নই। ছোটবেলায় বাবা বলেছিল কখনও লোভ কোরো না। লোভ না করলে পৃথিবীতে যে অবস্থাতেই থাকো ভাল থাকবে। এই বিশ্বাসটা নিয়েই আছি।

আবার সেই অহঙ্কার?

না। এটা বাস্তব। আমি আজ বলে দিচ্ছি আমার কী কী নেই।

বলুন...

আমার মানিব্যাগ নেই। আমার সঙ্গে যে থাকে সে সব খরচ-খরচা দিয়ে দেয়। আমার ডেবিট-ক্রেডিট কোনও কার্ডই নেই। আমার ল্যাপটপও নেই। ই-মেল নেই। আছে কেবল একটা ফোন। সেটা স্মার্ট নয়, ক্যাবলা!

আর কী কী আছে আপনার?

আমার মাথায় কুড়ি হাজার গানের স্মৃতি আছে। না দেখে আজও গাইতে পারি। অসংখ্য বন্ধু আছে যারা আমার দুঃখে কাঁদতে পারে।

আপনি তো খবরের কাগজও পড়েন না?

না, প্রায় পঁচিশ বছর আমার বাড়িতে কোনও খবরের কাগজ ঢোকে না। তাই বলে ভাববেন না আমি খবর রাখি না। সব খবর চলে আসে।

(মোবাইল বেজে উঠল, বাংলাদেশের কল শো। বেশ মোটা অঙ্ক চেয়ে বসলেন)

নিজে কাগজ পড়েন না। অথচ আত্মজীবনী লিখছেন এবং আশা করছেন লোকে পড়বে...

অবশ্যই পড়বে। সকলের মুখোশ় টেনে খুলে দেব। সব সত্যি লিখব। কী ভাবে কত নামী পরিচালক আমায় হ্যারাস করেছে লিখব। আমজনতার সামনে নামীদামি শিল্পীদের আসল পরিচয়টা বেরিয়ে পড়বে। বইয়ের নাম দিয়েছি, ‘ বিপজ্জনক হারমোনিয়াম’।

আপনার এই রাফ অ্যাটিটিউড-এর পুরোটাই কি পারফরম্যান্স?

বললাম যে আমি রত্নাকর। লোকেরও এখন সয়ে গেছে আমায় দেখে দেখে। শুনুন, যে রাস্তা ধরে উঠেছি, কঠোর না হয়ে উপায় ছিল না। কত যে ধুলো ঘেঁটেছি। কালো রাত্রির মধ্যে দিয়ে গেছি!

ওই ‘জুলফিকার’-এর গানে যে অলি-গলি রাস্তা দেখানো হচ্ছে সেগুলো আমার সব চেনা। ওই প্রলয়ের রাতের মধ্যে দিয়েই আমি নিজেকে তৈরি করেছি। প্রায় ২৪-২৫ বছর তো পার করে দিলাম।

এখন তো অনেকেই ২০ বছর, ২১ বছর, ২৫ বছর পালন করছেন। আপনি করবেন না?

ডিজিট দিয়ে কী হবে? জিন্দেগি বড়ি হোনা চাইয়ে। লম্বি নেহি। আমি যদি এক বছরও গেয়ে থাকি রাজার মতো গেয়েছি। টিকে আছি এটাই বড় কথা। সারা পৃথিবীতে মানুষ চুরি করে গান শোনে। একটা গান বাজারে বেরোলে, সেটা মানুষের কাছে এসে পৌঁছয় না। গানের অ্যালবাম রাখার তো কোনও জায়গাই নেই। আমিও তো অ্যালবাম করার সাহস পাচ্ছি না। কোথায় রাখব সেগুলো? আগের বারের মতো আবার আমাকে কোনও কেক কোম্পানির মালিকের কাছে যেতে হবে। অনুরোধ করতে হবে অ্যালবামগুলো যাতে ওখানে থাকে। প্রত্যেকবার কি বলা যায়? আমার তো মনে হয় আগামী দিনে মানুষ আর গান শুনবে না। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দেখবেন বন্ধ হয়ে গেছে।

জীবনের কাছে এখন কী চান?

মা-মাসিদের বলা একটা কথা বলতে চাই। কেন বললাম, কী বললাম তা নিয়ে কিন্তু আর প্রশ্ন করবেন না প্লিজ — শাঁখা, সিঁদুর নিয়ে এ বার যেতে পারলে বাঁচি।

এ কী! যাওয়ার কথা কেন?

যাওয়া মানেও ফেরা। আমার গানে বলেছি। ফেরা মানে ভাবো পরাজয় ফিরে আসতে কেন সংশয়/ শুধু সরণির দিক পরিবর্তন/ শুরু-শেষ একই অধ্যায়...

তবে খুব ক্লান্ত আমি। একা... থেকে থেকে এখন মনে হচ্ছে আমরা কিনারায় দাঁড়িয়ে। সভ্যতা ধ্বংস হবে। নেচার কিন্তু সেই রকম ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর কোনও বিপ্লব হবে না। বিদ্রোহ হবে না। গোটা পৃথিবী শাসকের নজরদারির মধ্যে। ধ্বংসের পথেই সৃষ্টি আসবে। তবে মানুষ আজ একা হয়ে গেছে।

এই একাকীত্বে সেই হাতটা থাকলে কি ভাল হতো?

কোন হাতটা বলুন তো?

যাঁর হাত ধরে একদিন মিনিবাসে উঠে পড়েছিলেন।

হুমমম... পীযূষদা। একটা আস্ত সুরের আগুন যেন! ওই হাতটাই হাতছানি দিচ্ছে অন্ধকারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Interview Nachiketa Chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE