পূজা হেগড়ে।
প্র: এখন কি দক্ষিণী ছবিতেই বেশি কাজ করছেন?
উ: ওখানে অনেক রকম চরিত্র পাচ্ছি। কয়েক দিন আগে ‘সাক্ষ্যম’ বলে একটি তেলুগু অ্যাকশন ফ্যান্টাসিতে কাজ করলাম। ছবিটা ভালই ব্যবসা করেছে। ওখানে অনেক অন্য রকমের ছবি হচ্ছে। আগে নায়কপ্রধান ছবিই করেছি। কিন্তু এখন এমন চরিত্র পাচ্ছি, যেখানে নারী চরিত্রের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
প্র: এ রকম ছবি বলিউডে পাচ্ছেন না?
উ: খুব আশা করে আছি, শিগগিরই হয়তো ভাল কিছু পাব।
প্র: ‘মহেঞ্জো দড়ো’র পর ‘হাউসফুল ফোর’ পেতে এতটা সময় লাগল কেন?
উ: ‘মহেঞ্জো দড়ো’ করার সময়ে আমার সঙ্গে ওদের কিছু চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী, তখন কারও সঙ্গে দেখা করারও অনুমতি ছিল না। তার পরে ছবিটা তৈরি হতে এক বছরের বেশি সময় লাগল। সেই গোটা সময়টা কোনও প্রজেক্ট এলেও আমার তাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সুযোগ হয়নি। এটাও ঠিক যে, আমি বেছে কাজ করতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু ডেবিউ ছবি ওয়র্ক না করলে এমনিতেই অনেকটা পিছিয়ে যেতে হয়। তার উপর বলিউডে আমার কোনও গডফাদার নেই যে, কাউকে ধরে কাজ পাব! সেই কারণেই দক্ষিণী ছবিতে মন দিয়েছিলাম।
প্র: হৃতিক রোশনের পর অক্ষয়কুমার... বিপরীতে হেভিওয়েট নায়কদেরই পান।
উ: আই থ্যাংক মাই স্টার্স। দেরি করে হলেও ভাল কাজ করতে পেলেই সুখী হব। তবে হেভিওয়েট বলুন আর যা-ই বলুন, ‘হাউসফুল ফোর’-এর সেটে অক্ষয়কুমারকে দেখলে কিন্তু মনেই হবে না, ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে এসেছি। এত মজা করতে ভালবাসেন! রীতেশ (দেশমুখ), ববি দেওল আর অক্ষয় স্যর সুযোগ পেলেই নিজেদের মধ্যে প্ল্যান করে আমার পিছনে লাগেন! ইটস ক্রেজ়ি।
প্র: ফিরে আসার জন্য কমেডি ছবি বাছলেন কেন?
উ: ‘হাউসফুল’ সফল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। তা ছাড়া আমার বাবা ভীষণ কমেডি ভালবাসেন। বাবাই বলেছিলেন, কেন কমেডি করছি না। বাবার পছন্দের কমেডি ছবিগুলো কিন্তু সব বলিউডের— রোহিত শেট্টির ছবি, ‘বোল বচ্চন’... আর কমেডি করা কিন্তু শক্ত। লোককে হাসানোর জন্য প্রতিভা দরকার। আমার সেই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল।
প্র: কিন্তু এই ছবি তো অঁসম্বল কাস্ট। হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই?
উ: অঁসম্বল কাস্টের সঙ্গে কাজ করলেই সবচেয়ে বেশি শেখা যায়। আমি তো বাকিদের মতো অভিজ্ঞ নই।
প্র: ‘মহেঞ্জো দড়ো’র সময়ে মণি রত্নমের ছবি ছাড়তে হয়েছিল। আক্ষেপ করেন?
উ: না। আমি ঠিক আক্ষেপ করার মানুষ নই। তবে ‘মহেঞ্জো দড়ো’র ব্লান্ডারের সময়টায় এত বড় সুযোগ মিস হয়ে যাওয়ায় একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমরা তো ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই। তাই কাটিয়ে উঠেছিলাম সেটা।
প্র: প্রভাসের সঙ্গে যে ছবিটা করছিলেন, সেটার কী খবর?
উ: ওটা এখনও শুরু হতে একটু দেরি আছে। ছবিটা প্রেমের গল্প নিয়ে।
প্র: আর আপনার নিজের প্রেমের গল্পটা?
উ: (হেসে উঠে) সেটাও এখন হওয়ার নয়, বুঝলেন! ফর নাউ, লাইফ ইজ় অল অ্যাবাউট ওয়র্ক। আর এত ব্যস্ততার মধ্যে মনের মানুষ খোঁজার সময়টাও নেই!
প্র: আপনি নাকি বই পড়তে ভালবাসেন?
উ: ভীষণ! স্কুল থেকেই। ছোটবেলায় হ্যারি পটার সিরিজ় পড়ার পরে বসে থাকতাম, কবে আমার চিঠি আসবে হগওয়র্টস থেকে! আমি রূপকথায় বিশ্বাস করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy