সুমনা চক্রবর্তী।
তাঁর পরিচিতি কপিল শর্মার শো দিয়ে। দেখতে দেখতে ছোট পরদায় দশটি বছর কাটিয়ে ফেলেছেন সুমনা চক্রবর্তী। যদিও কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ধারাবাহিক দিয়ে। ছোট পরদার জনপ্রিয় শো যেমন ‘কসম সে’, ‘ডিটেক্টিভ ডল’, ‘সুন ইয়ার চিল মার’, ‘কস্তুরী’, ‘বড়ে অচ্ছে লগতে হ্যায়’-তে কাজ করেছেন। দেখা গিয়েছে অনুরাগ বসুর ‘বরফি’তেও। এখন কালার্সে ‘দেব’ নামে একটি গোয়েন্দা ধারাবাহিকে বাঙালি চরিত্রে অভিনয় করছেন সুমনা।
কাজ নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে না আপনি? বললেন, ‘‘ভীষণ। সেটা না হলে লোকজন মিস করবে কেন? ১০ বছর কাজের পর উপলব্ধি করেছি যে, কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য থাকা খুব জরুরি। তাই কাজ খুব ভেবেচিন্তে করি। একই জিনিস পরদায় রিপিট করি না।’’ তা হলে গত কয়েক বছরে কমেডি শোতেই যে শুধু আপনাকে দেখা গিয়েছে! ‘‘সাড়ে তিন বছর ‘বড়ে অচ্ছে...’ চলে। তার পর ‘জামাই রাজা’তে নেগেটিভ লিড ছিল। এর পর একই ধরনের চরিত্র আসতে শুরু করে। তখন সিদ্ধান্ত নিই, অন্য কিছুর জন্য অপেক্ষা করব,’’ বললেন সুমনা।
আরও পড়ুন, সুনীলকে মিস করছি, বিস্ফোরক দাবি কপিলের সহকর্মীর
কমেডি শো করে শিল্পীর খিদে মেটে? ‘‘কমেডি কিন্তু ভীষণ কঠিন। কত বার এমন হয়েছে, হাসির মুড নয়, অথচ ক্যামেরার সামনে হাসতে হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করেছি।’’ কপিলের শোয়ে ডাক্তার গুলাটির (সুনীল গ্রোভার) সঙ্গে আপনার স্ক্রিন কেমিস্ট্রি দারুণ ছিল, মিস করেন সুনীলকে? বেশ নস্টালজিক হয়ে সুমনা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই মিস করি, একসঙ্গে এত দিন কাজ করেছি। উনি একজন ভীষণ ভাল অভিনেতা। স্ক্রিনে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা সত্যিই খুব ভাল ছিল।’’
নতুন ধারাবাহিক ‘দেব’-এ আপনি একজন সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে। সেই প্রসঙ্গে সুমনা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমার ভয় ছিল, যদি আমাকে টাইপকাস্ট করে দেওয়া হয়! যদি শুধু মায়ের রোলের জন্য ডাক আসে। আমার চরিত্রের একটা স্ট্রং ব্যাকস্টোরি আছে, সেটা ভেবেই চ্যালেঞ্জটা নিই।’’
বাংলা ছবি করার ইচ্ছে আছে? উচ্ছ্বসিত সুমনা বললেন, ‘‘ভীষণ ভীষণ ইচ্ছে। আমার প্রিয় পরিচালক প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং অপর্ণা সেন। জীবনে একবার অপর্ণা সেনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে উনি কি আমার অস্তিত্ব জানেন? আমি ওঁকে চিৎকার করে বলতে চাই, আমি আছি....প্লিজ, আমাকে আপনার ছবিতে নিন। রাইমা, কঙ্কণা যে ধরনের চরিত্র করেন, আমিও তেমন কাজ করতে চাই।’’
পার্টিতে আপনাকে সে ভাবে দেখা যায় না। আর তাই বুঝি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গুজবও বেশি শোনা যায়!
হাসতে হাসতে সুমনা বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমিও শুনতে পাই, প্রত্যেক ৬ মাসে আমার একবার করে বিয়ে হয়। যে দিন সম্পর্কে আসব, আমি নিজেই পরিবার আর বন্ধুদের জানাব। এই মুহূর্তে বিয়ে করতে চাই না। কারণ আমার মতে, কোনও সই করা কাগজ সম্পর্কের প্রমাণপত্র হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy