টেলিভিশনের পর্দায় আত্মপ্রকাশ সত্তরের দশকে। বড় পর্দায় ‘এঞ্জেল’দের শেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৩ সালে। তার পরে ১৬ বছরের বিরতি। এলিজ়াবেথ ব্যাঙ্কসের নির্দেশনায় ফিরে এসেছে ‘চার্লিস এঞ্জেলস’। সেই চেনা ছক। ভিলেনদের সঙ্গে ধুমধাড়াক্কা মারপিট। শেষে জিত এঞ্জেলদের।
গল্পের সূত্রপাত চার্লির সংস্থার এক বিশ্বস্ত সৈনিক বসলির (বিভিন্ন অভিযানে এঞ্জেলদের সাহায্যকারী) অবসর দিয়ে। এর পরে এঞ্জেলদের কাছে আসে অ্যাসাইনমেন্ট। এলেনা হুগলিন (নেওমি স্কট) পেশায় বিজ্ঞানী। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। ওই সংস্থা বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে অস্ত্র হিসেবেও। এলেনা বিষয়টি জানতে পেরে এঞ্জেল সাবিনা উইলসন (ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট) এবং জেন কানোর (এলা বালিনস্কা) দ্বারস্থ হয়। তাদের প্রথম মোলাকাতেই শত্রুপক্ষের আগমন— গুলি, কার চেজ় শুরু।
গল্পের প্লট গিয়ে পড়েছে কখনও লন্ডন, কখনও ইস্তানবুলে। সব জায়গাতেই এঞ্জেলরা গিয়ে কোনও না কোনও কাণ্ড ঘটাচ্ছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অফিস থেকে নতুন আবিষ্কার করা যন্ত্রের প্রোটোটাইপ চুরি করছে, রেস কোর্সে ভিড়ের মধ্যে ভিলেনকে ধরতে ট্রাঙ্কুলাইজ়ার গান চালাচ্ছে, ফাঁকা পাথর ভাঙার খাদানে মারপিট করছে, আবার বোমা বিস্ফোরণে মরতে মরতে বাঁচছে। কিন্তু এত কাণ্ডের পরেও কোথাও একবারের জন্যও পুলিশের দেখা মিলছে না!
চার্লিস এঞ্জেলস
পরিচালনা: এলিজ়াবেথ ব্যাঙ্কস
অভিনয়: নেওমি স্কট, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, এলা বালিনস্কা
৪.৫/১০
গল্পের শেষে অবশ্য রয়েছে অল্প টুইস্ট। তবে শুধু ওই অংশটুকুর জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা সিনেমা হলে বসে থাকাটা একঘেয়ে মনে হলেও হতে পারে। ২০০০ আর ২০০৩ সালে ‘চার্লিস এঞ্জেলস’-এ সেই সময়ের প্রেক্ষিতে ড্রিউ ব্যারিমোর, ক্যামেরন ডিয়াজ়, লুসি লিউ এঞ্জেলদের সম্পর্কে যে ধারণা তৈরি করে দিয়েছিলেন, সেই ধারণার আশপাশেও পৌঁছতে পারলেন না এলিজ়াবেথ ব্যাঙ্কসের পরিরা। একটা ঝাঁ চকচকে মোড়কে পুরনো গল্পই তুলে ধরা হল।
আর হ্যাঁ, এ বারেও সিনেমার শেষে কিন্তু জানা গেল না, চার্লিটা আসলে কে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy