ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পরে অবশেষে মুখ খুললেন হেমা মালিনী। সেই দিন পবন হংস শ্মশানে ছলছল চোখে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সংবাদমাধ্যমকেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অবশেষে নিজের সমাজমাধ্যমে মনের কথা লিখলেন তিনি।
হেমার জীবনের বিরাট অংশ জুড়ে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। স্বামী ও বাবা দুই ভূমিকাই সফল ভাবে পালন করেছিলেন অভিনেতা। এমনই জানান হেমা। অভিনেত্রী লেখেন, “অবশ্যই ভাল স্বামী ও আমাদের দুই কন্যা ঈশা ও অহনার ভাল বাবা ছিলেন। তা ছাড়া আমার জীবনের বন্ধু, পথপ্রদর্শক ছিলেন। যে কোনও প্রয়োজনে আমি ওঁর কাছে যেতাম। বলা ভাল, আমার সবকিছু ছিলেন তিনি। ভাল ও খারাপ দুই সময়েই আমার পাশে ছিলেন।”
খ্যাতির চূড়ায় থাকলেও ধর্মেন্দ্র ছিলেন আন্তরিক মানুষ। প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও মাটিতে পা রেখে চলতেন। এই বিষয়টিই সকলের থেকে তাঁকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছিল বলে মনে করেন হেমা। তিনি লেখেন, “চলচ্চিত্রজগতে ওঁর খ্যাতি ও সাফল্য চিরন্তন হয়ে থাকবে।”
আরও পড়ুন:
প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দাম্পত্যে থাকাকালীনই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে হেমা লিখেছেন, “ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে আমার কতটা ক্ষতি হল তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। যে খালি স্থান তৈরি হয়ে গেল, তা আমার সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে। এত বছর একসঙ্গে থাকার পরে এখন আমার কাছে বিশেষ স্মৃতিগুলোই থাকবে।”
দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পরে বাড়ি ফিরেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বাড়িতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সোমবার আর শেষরক্ষা হল না। সেই দিন নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র।