২০২২ সালের ২৯ মে নিজের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে পঞ্জাবের মানসা জেলায় সিধু মুসে ওয়ালার গাড়িতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুলিতে না কি ঝাঁঝরা করে দেন গায়ককে। সে সময় গাড়িতে ছিলেন মুসেওয়ালার বন্ধু এবং এক তুতো ভাই। হামলায় ওই দু’জনও গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২৮ বছরের পঞ্জাবি র্যাপ গায়ককে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার পর গায়ককে হত্যার দায় স্বীকার করেন গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। এ বার মুসে ওয়ালাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন বিবিসি। এ বার সেখানে নাকি গোল্ডি জানান, কেন মুসেওয়ালাকে খুন করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন:
তথ্যচিত্রটিতে গোল্ডি জানান, লরেন্স বিশ্নোইয়ের সঙ্গে সিধু যোগাযোগ রাখতেন। তাঁকে তোষামোদ করার জন্য ‘শুভ সকাল’ এবং ‘শুভরাত্রি’ বার্তা পাঠাতেন। গোল্ডি দাবি করেছেন যে, বিষ্ণোই এবং সিধুর মধ্যে প্রথম ঝগড়া হয়েছিল ভাগো মাজরায় একটি কাবাডি ম্যাচকে নিয়ে, যা বিষ্ণোইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। গোল্ডি জানান, সিধু তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থন করছিলেন, যা বিষ্ণোই এবং তার সহযোগীরা ঠিক চোখে নেননি। এর পর সিধুকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং সতর্ক করা হয়েছিল যে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না। গোল্ডি বলেন, ‘‘সিধু এমন কিছু ভুল করেছিলেন যা ক্ষমা করা যায় না।’’ লরেন্স সিধুকে ফোন করে টুর্নামেন্টে না যাওয়ার কথা কথা বলেন। কিন্তু সিধু পাল্টা বলেন,‘‘আমি কেন যাব না?’’ তাতেই আরও ক্ষেপে যান তাঁরা। সিধু না কি বিশ্নোইদের প্রতিদ্বন্দ্বী বাম্বিহা গ্যাংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
২০২১ সালে বিশ্নোইদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যুব অকালি দলের নেতা ভিকি মিদ্দুখেরা হত্যার প্রতিশোধ নিতে বিশ্নোই এবং গোল্ডি সিধুকে হত্যা করেন। এই মামলায় সিধুর ম্যানেজার শগনপ্রীত সিংহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সন্দেহ ছিল সিধু নিজেও জড়িত এই ঘটনায়। যদিও তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তাই গোল্ডি জানান, তিনি যা করেছেন কোনও অনুতাপ নেই, বরং তিনি গর্বিত।