সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করেন সদ্গুরু জগ্গি বাসুদেব। বিস্ফোরক দাবি জাভেদ আখতারের। বেশ কয়েক বছর আগে এক আলোচনা সভায় বাগযুদ্ধ হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। তাতে পরিস্থিতি না কি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। পরস্পরকে নানা নামে কটাক্ষও করেছিলেন তাঁরা।
সদ্গুরু দাবি করেছিলেন, জাভেদ আখতার না কি তাঁর বুদ্ধির ব্যবহার করেন না। পাল্টা দিয়ে গীতিকার বলেছিলেন, সদ্গুরু সাধারণ নিরীহ মানুষের মগজ ধোলাই করে ভয়ঙ্কর খেলা খেলেন। এখানেই শেষ নয়। জাভেদ জানিয়েছিলেন, এই জীবনে এমন কোনও আধ্যাত্মিক গুরুকে তিনি দেখেননি যাঁকে গুরুত্ব দেওয়া যায়।
সদ্গুরু দাবি করেছিলেন, মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয় যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই দাবির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন বর্ষীয়ান গীতিকার। জাভেদ সেই আলোচনা সভায় বলেছিলেন, “আধ্যাত্মিকতা প্রথমেই নিজের পঞ্চেন্দ্রিয়ের উপর ভরসা ও আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার করে দেয়। তার পরেই কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এগুলোর উপর বিশ্বাস করলে কেন অস্ত্রোপচার করে মস্তিষ্ক বাদ দিয়ে দেন না?”
আরও পড়ুন:
যাঁরা আধ্যাত্মিকতায় আশকারা দেন, তাঁরা ভয়ঙ্কর খেলা খেলছেন বলে দাবি করেছিলেন জাভেদ। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, কিছু ক্ষেত্রে বোকামি বিশ্বাসের রূপ নেয়। এর পরেই সদ্গুরু খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “শেষ বার যখন জাভেদ স্যরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, এক আধ্যাত্মিক গুরুর পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সেই আধ্যাত্মিক গুরু ওঁকে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমার মনে হয়, সেই পরামর্শই তিনি এখনও মেনে চলছেন।” এর উত্তরেই জাভেদ জানিয়েছিলেন, কোনও আধ্যাত্মিক গুরুকেই কোনও দিন গুরুত্ব দেননি তিনি।